শীতের নানা ধরণের অসুখ-বিসুখ

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮

শীত মানেই বিভিন্ন রকম ঠাণ্ডাজনিত অসুখের প্রকোপ। শিশু, বৃদ্ধ বা তরুণ সবাই শীতের নানা রকম অসুখে কাবু হয়ে যান। এই সময়ে শিশুদের নিউমোনিয়া হতে পারে। তখন দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। শীতকালে শিশু ঘন ঘন প্রস্রাব করে। ফলে শিশুকে ডায়াপার পড়ানো উচিত। এছাড়া তেল, বিশেষ করে অলিভ অয়েল দিয়ে শিশুকে মালিশ করা যেতে পারে।

ঘরের মেঝেতে ম্যাট ব্যবহার করা ভাল। তাতে শিশুর ঠাণ্ডা কম লাগবে। শীতে যেহেতু ঘাম কম হয় তাই এই সময়ে চর্মরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ত্বক শুষ্কতা কমাতে সরিষার তেল, অলিভ অয়েল বা অন্য ক্রিম ব্যবহার করলে এই সমস্যার সমাধান হয়।

ঠাণ্ডা ও শুষ্ক বাতাস হাঁপানি রোগীদের শ্বাসনালিকে আরো সরু করে দেয়। ফলে শীতে হাঁপানি বাড়ে। আরো বাড়ে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, গলায় খুশখুশ ভাব ও শুকনো কাশি, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি ঝরা এবং ঘন ঘন হাঁচি। এছাড়া হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা ও খাওয়ায় অরুচি দেখা দেয়। এই অবস্থায় প্যারাসিটামল খাওয়া যায়, গরম পানির ভাপ নেয়াও খুব উপকারি।

শীতে সাইনাস, টনসিল, ব্রঙ্কাইটিস বাড়ে। এসব রোগ সবচেয়ে বেশি হয় নবজাতক, শিশু, বৃদ্ধ, হাঁপানি রোগী ও ধূমপায়ীদের। শীতে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অনেক বেড়ে যায়। এই রোগের লক্ষণ হলো জ্বর বা কাঁপুনি জ্বর, মাথা ব্যথা, গা ব্যথা ও পেশি ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ লাগা, গলা ব্যথা ও গলা বসে যাওয়া, কাশি ও বুকের মাঝখান ব্যথা হওয়া।

শীতে গর্ভবতীদের সেপসিস, নিউমোথোরাক্স ও রেসপিরেটরি ফেলিওর হতে পারে। অনেক সময়ে গর্ভপাতের আশঙ্কাও থাকে। তাই প্রতি বছর ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নিতে হবে। এর সঙ্গে পাঁচ বছর পর নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন নিলে শ্বাসকষ্টের রোগীরা উপকৃত হবেন।

অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় আঙুলে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। এমন সমস্যা থাকলে ধূমপান, কফি পান করা যাবে না। এছাড়া ত্বকের কিছু ক্রনিক সমস্যা যেমন এগজিমা ও সোরিয়াসিস বাড়তে পারে। ঠাণ্ডা পরিবেশে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা বা হার্টের অসুস্থতায় ভোগা রোগীরা সতর্ক থাকবেন। কারণ শীতে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে।

টি/আ

Leave a Comment