যেভাবে আপনার বাচ্চার খাওয়ার রুচি বাড়াবেন 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮

সকালের নাস্তা : এটা সবাই যে সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সকালের খাবার পাচনক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং দিনের কাজের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। আপনার সন্তানের ক্ষুধা বৃদ্ধির জন্যে সকালে পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন।

প্রতি দুই ঘন্টা পরপর খাবার দিন : বাড়ন্ত বয়সগুলিতে শিশুদের বিপাকতন্ত্র উচ্চমাত্রার থাকে। এজন্য সারাদিনে শুধু তিনবেলা খাবার তাদের পাচনতন্ত্রের কাজ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তাদের প্রতি দুই ঘন্টা পরপর নিয়মিত খাবার দেওয়া উচিত; এতে তাদের ক্ষুধা বাড়তে সাহায্য করে।

খাবার আধা ঘন্টা আগে পানি পান করান: আপনার শিশুকে খাবার দেবার ৩০ মিনিট আগে পানি পান করলে সেটি পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে তোলে। সকালেও ঘুম থেকে ওঠার পর একই জিনিসটি বজায় রাখুন কারণ তাতে শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্যে হাইড্রেট থাকে। এটি স্পষ্ট ভাবে শিশুর ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

মাঝে মাঝে কিছু স্ন্যাক্স দিন : আপনার সন্তানের যদি ভাল ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে মাঝে মাঝে বেশ কিছুটা পরিমানে ভারী স্ন্যাক্স খাওয়ান। চিপস বা কুকিসের পরিবর্তে একটি স্যান্ডউইচ বা একটি কুকি দিন।

খাবার হিসাবে দুধ খাওয়াবেন না : যদিও বলা হয় যে দুধ একটি সম্পূর্ণ খাবার, তবুও এটি একটি খাবার হিসাবে পরিবেশন করা উচিত নয়। খাবার শুরুতেই দুধ খাওয়া হলে সেটি পরবর্তী খাবারের জন্য ক্ষুধা হ্রাস করে। দুধের পরিবর্তে পনির বা দইয়ের মতো অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারেন।

মটর বা বাদাম খাওয়ান : শুধু মাখন না খাইয়ে পিনাট মাখন খাওয়ান। ভাজা মটরও খাওয়াতে পারেন যা ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

খেলাধুলা এবং ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন :  শারীরিক পরিশ্রম ক্ষুধা তৈরি করে সেটা আমরা সবাই জানি। বাচ্চার ক্ষুধা বাড়াতে বেশি বেশি খেলতে দিন শিশুকে।

জিংক সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ান : জিঙ্কের অভাব অরুচির জন্য দায়ী, তাই জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ান। কাজু বাদাম, গম, কুমড়া ইত্যাদি জিংক সমৃদ্ধ। এর জন্যে আপনি ডাক্তারের সাথেও পরামর্শ করতে পারেন।

বাচ্চাকে তার প্রিয় খাবারটি মাঝে মাঝে খেতে দিন : খাবারের ব্যাপারে শিশুরা মেজাজ দেখতে পারে। তারা এমন কিছু খেতে পারবেনা যা তারা পছন্দ করেনা, তা যতই পুষ্টিকর হোক না কেন। সুতরাং, বাচ্চার রুচি বৃদ্ধি করার জন্য, তাদের প্রিয় খাবারের আইটেমগুলি রাখুন। এগুলি তাদের খাওয়ার দিকে আকৃষ্ট করবে।

Leave a Comment