মাইগ্রেনের ব্যথা থাকলে যে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করবেন

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮

শীতে এমনিতেই ঠাণ্ডা লেগে সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর সঙ্গে যদি যোগ হয় মাইগ্রেনের কষ্টও তবে তা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। তীব্র মাথা ব্যথা কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়া, সঙ্গে হালকা জ্বর, এই উপসর্গগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন নয়। আর একটানা এই ব্যথা বেশ কয়েকদিন থাকার কারণে শরীর পুরোপুরি দুর্বল হয়ে যায়।

কেবল ওষুধ বা প্রয়োজনীয় সাবধানতা না মানলেই যে মাইগ্রেন বাড়ে এমন নয়। বরং আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসের ওপরও নির্ভর করে ব্যথার প্রকোপ। প্রতিদিনের বেশ কিছু অভ্যাস ত্যাগ করলে কিন্তু অনেকটা দূরে রাখা যায় এই ব্যথা।

মানসিক চাপ: কর্মব্যস্ত জীবনে একটানা অনেক ক্ষণ কাজ করা, নির্দিষ্ট সময় ও নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া না করা, সারাক্ষণ ডেডলাইনের চাপ এগুলো মাইগ্রেনের উপর প্রভাব ফেলে। এই মানসিক চাপ বাড়তে থাকলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়া খুব স্বাভাবিক।

অনিয়মিত ঘুম: প্রতিদিনের ঘুম কিন্তু মাইগ্রেনের কমা বা বাড়ার উপর প্রভাব রাখে। তাই ঘুমের জন্য রাতে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে হবে। আর তা একেবারেই না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমান। তবে ঘুমের মাত্রা একই রাখুন। এক দিন কম ঘুমালেন আর কোনো এক দিন বেশি ঘুমালেন এমন না করে ঘুমের মাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করুন।

চিনি: অতিরিক্ত চিনি বা অ্যাডেড সুগার দেয়া আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে চিনির পরিমান বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মিষ্টি জাতীয় কিছু খান, তবে পরিমানটা বুঝেই খেতে হবে।

আবহাওয়া: খুব রোদ, খুব বৃষ্টি বা ঠাণ্ডা সব গুলোই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। খুব গরম বা খুব আর্দ্র পরিবেশে খুব একটা ঘোরাঘুরি করা যাবে না। আর যদি করতেই হয় তবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওষুধ বা ব্যায়াম করতে হবে। যার প্রভাবে মাইগ্রেন দূরে থাকবে।

না খাওয়া: দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিক বাড়তে শুরু করে। আর অনেকেই হয় তো জানেন না গ্যাস্ট্রিকের একটি কাজ মাইগ্রেন টেনে আনা। কাজেই গ্যাস্ট্রিক এড়াতে পেট খালি রাখাই যাবে না। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বন্ধ করতে পারলে মাইগ্রেনের ভয়ও কমবে।

কফির অভ্যাস: কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা হঠাৎ করেই বন্ধ করবেন না। হু-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইগ্রেনের রোগীদের ক্যাফেইনের উপস্থিতি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। তাই কফি ছাড়তে হলে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। প্রয়োজনে ডায়াটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলুন।

শব্দদূষণ: অতিরিক্ত শব্দ, একটানা প্রচুর আওয়াজে থাকা, গাড়ির একটানা হর্ন এ সব থেকে দূরে থাকুন। এতে স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে ও তা মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়ায়। শব্দের প্রকোপ থেকে কান বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

টি/আ

Leave a Comment