ওভারিয়ার সমস্যায় নারীদের যা করণীয়

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮

নারীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার মধ্যে একটি মারাত্নক সমস্যা হলো ওভারিয়ান সিস্ট ও টিউমার। যদিও ওভারিয়ান সিস্ট এবং টিউমার দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। তবে অনেক সময় এই দুইটির পার্থক্য রোগীরা বুঝতে পারেন না এবং সাধারণ সিস্ট হলেও দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এই দুইটির মধ্যে রয়েছে অনেক পার্থক্য।

ওভারিয়ান সিস্ট-এর লক্ষণ ও চিকিৎসা: সিস্ট সাধারণত কোনো লক্ষণ প্রকাশ করে না। এর সাইজ হয়ে থাকে ৫-৭ সে.মি.। সিস্টের মধ্যে ক্লিয়ার ফ্লুয়িড বা পানি থাকে। তবে আল্ট্রাসাউন্ড-এর মাধ্যমে সিস্ট ডায়াগনোসিস বা খুঁজে বের করা হয়।

ফলিকুলার সিস্ট: বিভিন্ন রকম ওভারিয়ান সিস্ট-এর মধ্যে একটি ফলিকুলার সিস্ট। যা পলিসিস্টিক ওভারি-তে হয়ে থাকে। যার কারণে নিয়মিত ডিম্বস্ফুটন হয় না এবং রোগী বন্ধ্যাত্বের মত সমস্যায় ভুগে থাকেন।

ওভারিয়ান সিস্টের চিকিৎসা: ওভারিয়ান টিউমারের চিকিৎসা অপারেশন হলেও সিস্ট-এর ক্ষেত্রে অপারেশন দরকার হয় না। এটি ২-৩ মাসের মধ্যে চলে যায়। তবে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্ট-এর চিকিৎসা নিতে হবে।

ওভারিয়ান টিউমার: ওভারিয়ান টিউমারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক অবস্থায় কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে টিউমার বড় হতে থাকলে তলপেট ভারি হতে থাকে এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ-এর উপর চাপ দিতে থাকে।

আল্ট্রাসাউন্ড করে যদি টিউমার মনে হয় তবে টিউমার মার্কারসহ অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখে নিতে হয়। এটা আসলে সাধারণ টিউমার নাকি ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সারের টিউমার তা দেখা জরুরি। কারণ দুটোর চিকিৎসা পদ্ধতি একেবারেই আলাদা। তবে মনে রাখতে হবে বয়স ৪০ এর পর ওভারিয়ান যেকোনো সিস্ট বা টিউমার গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

টি/আ

Leave a Comment