স্থুলকায় নারীদের গর্ভধারণে যেসব সমস্যা হতে পারে!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮

নতুন মা হবার অভিজ্ঞতা একদমই অন্যরকম একটা ব্যাপার। কিন্তু ব্যাপারটি জটিল হয়ে যায় যখন হবু মা-এর ওজন দরকারের থেকে বেশি হয়। মায়ের ওজন বেশী হলে মা ও বাচ্চা দুজনেরই কিছু শারীরিক জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে যা পরবর্তীতে অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে।

নিউরাল টিউব অপূর্ণতা : নিউরাল টিউব অপূর্ণতা (NTDs) হল একটি শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু বিকাশের সমস্যা। অতিরিক্ত ওজন ও অতি স্থূল মহিলাদের সন্তানের NTD থাকার উচ্চ ঝুঁকি থাকে।

গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস : গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস হয় রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হয়ে গেলে। আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ মতাবেক খওয়া দাওয়া করতে হবে। সেই সাথে নিয়মিত শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। বেশি মাত্রায় শর্করা পাওয়া গেলে তা আপনার জন্য অনেক সমস্যার সৃষ্টি করবে। এর ফলে আপনার সন্তান বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি হতে পারে।

গর্ভাবস্থার উচ্চ রক্তচাপ : গর্ভাবস্থার 20 সপ্তাহ পরে যদি আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে কিন্তু আপনার প্রস্রাবে প্রোটিন না থাকে তবে আপনি গর্ভাবস্থার উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কিন্তু গর্ভাবস্থার উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত আপনি বা আপনার শিশুর জন্য প্রকাশ্য সমস্যার কারণ হবে না। তবে এটা pre-eclampsia, intrauterine বৃদ্ধির ক্ষতি, preterm এবং stillbirth এর ঝুঁকিতে রাখে আপনাকে।

বড় শিশুর জন্ম : যদিও সাধারণত একটি সুস্থ শিশুর ওজন ৭ থেকে ৮ পাউন্ড হতে পারে জন্মের সময়। কিন্তু অবেসিটির শিকার মায়েদের ক্ষেত্রে আরও বড় যেমন ৯ পাউন্ডের উপরে শিশুর জন্ম নিতে পারে। একে বলে macrosomia। এই স্থূলতা একটি শিশুর থাকার জন্য ঝুঁকি হিসেবে গণ্য করা হয়। আপনার যদি গর্ভাবস্থায় ডাইবেটিকস থাকে, বা পারিবারিক ইতিহাস থাকে বড় বাচ্চা জন্ম দেয়ার বা আপনার সন্তানের জন্মের ডিউ ডেট পার হয়ে যায় তবে বড় বাচ্চার জন্ম হতে পারে।

সিজারিয়ান : গবেষণায় দেখা গেছে যে স্থুলকায় মহিলাদের সিজারিয়ান ডেলিভারির হার নরমাল ডেলিভারির থেকে বেশি। স্থূলকায় হবার কারনে সসাধারন ভাবে সন্তান জন্ম দেয়াটা অনেক সময় মা ও সন্তান দুজনের জন্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। মা ডাইবেটিকসের শিকার হলে রক্তক্ষরণ বেশি হতে পারে।

স্থুলকায় নারীরা গর্ভাবস্থায় সাধারণত এসব রোগের শিকার হতে পারেন। তার মানে এই না যে সব মা'ই এই রোগের শিকার হবেন। তবে নিয়মিত যত্ন ও ডাক্তারের নির্দেশ মত চললে আপনার ও আপনার সন্তানের ক্ষতি হবার কোন সম্ভাবনাই থাকবে না।

Leave a Comment