ফাইব্রয়েড ইউটেরাস হলে কি বাচ্চা হয়?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • জানুয়ারি ৫, ২০১৯

মহিলাদের প্রজননক্ষম বয়সে জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি যে টিউমারটি হতে দেখা যায় তা হলো ফাইব্রয়েড বা মায়োমা। জরায়ুর পেশির অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে এই টিউমারের সৃষ্টি হয়। ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের মধ্যে ২০ শতাংশই এই সমস্যায় আক্রান্ত। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যানসার বা বিপজ্জনক কিছু নয়।

ফাইব্রয়েড হলে কি হয়?

১. ফাইব্রয়েডের কারণে জরায়ু অতিরিক্ত বড় হয়ে যায়। 

২. জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে রক্তনালির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভ্রূণ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না। 

৩. জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউবের সংযোগস্থলে বা এমন কোনো জায়গায় টিউমারটির অবস্থান হয়, যা ভ্রূণকে সুস্থিত হতে বাধা দেয়।

দুটো সমস্যার কারণে সুচিকিৎসা দরকার। 

* এর ফলে অতিরিক্ত মাসিক হওয়া এবং তার জন্য রক্তশূন্যতা হতে পারে। 

*এটিকে বন্ধ্যাত্বের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই রোগ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াঃ

*অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, তলপেটে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা, দীর্ঘসময় ধরে ঋতুস্রাব হওয়া, অস্বাভবিক রক্তস্বল্পতা।

*তলপেট চাপ ধরে থাকা এবং বাধাগ্রস্থ মুত্রত্যাগ সমস্যা। কখনও মলত্যাগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

*তলপেট আকারে এতটাই বড় হতে পারে, যে রোগীকে গর্ভবতীর মতো মনে হয়।

চিকিৎসা : মূলত অস্ত্রোপচারই ফাইব্রয়েড টিউমারের প্রধানতম চিকিৎসা। ঔষুধের মাধ্যমে এর স্থায়ী চিকিৎসা হয় না। এবং সঠিক চিকিৎসার পর সকল মা-ই বাচ্চা নিতে পারেন কোন সমস্যা হয় না। তাই চিন্তার কিছু নেই।

Leave a Comment