রক্তবাহিত রোগ থেকে সাবধান

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • জানুয়ারি ১৩, ২০১৯

দেশে শতকরা ৭৫-৮০ ভাগ রক্তদাতা হলো পেশাদার রক্ত বিক্রেতা। বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে, পেশাদার রক্তদাতাদের রক্তে ২৯ শতাংশ হেপাটাইটিস-বি, ২২ শতাংশ সিফিলিস এবং প্রায় ৬ শতাংশ হেপাটাইটিস-সি রোগের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এরা এমনিতেই রক্তশূন্যতাসহ অনেক রক্তবাহিত রোগে ভোগেন ও কেউ কেউ অর্থের প্রয়োজনে ঘন ঘন রক্ত বিক্রি করে। এভাবে রক্তগ্রহীতাদের মধ্যে অনেক রোগের বিস্তার ঘটে।

প্রায়ই জানা যায়, একশ্রেণির দুষ্কৃতিকারী চক্রের কবলে পড়ে দূষিত রক্ত কেনাবেচা হচ্ছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে তেমনি বেশকটি তথ্য ও প্রামাণ্য চিত্র। রক্তে এখন পানি ও খাবার স্যালাইন মেশানো হচ্ছে।  অতএব শরীরে রক্ত গ্রহণের আগে সঠিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরি।

রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য রক্তের গ্রুপ ও ক্রস-ম্যাচিং সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। কারণ, সঠিকভাবে গ্রুপ ও ক্রস-ম্যাচিং করা না হলে শুধু রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য রোগীর মৃত্যু হতে পারে। রক্তের অনেক গ্রুপ থাকলেও সাধারণত ৪টি গ্রুপে রক্তকে ভাগ করা যায়। যথা— গ্রুপ ‘এ’, ‘বি’, ‘এবি’ এবং ‘ও’ গ্রুপ । এ ছাড়া আরএইচ ফ্যাক্টর নামে ১টি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে, যা পজিটিভ বা নেগেটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়। রক্তের গ্রুপ আরএইচ এবং ক্রস-ম্যাচিংয়ের সঠিক সমন্বয় ঘটলেই শুধু রক্তদাতার রক্ত গ্রহীতার শরীরে পরিসঞ্চালন করা সম্ভব।

একজন স্ব্বাভাবিক মানুষের শরীরে প্রায় ৫ লিটার রক্ত রয়েছে।  রক্তের ৭০ ভাগই পানি। আমাদের দেশে বছরে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। দুর্ঘটনাজনিত রক্তক্ষরণ, প্রসবজনিত রক্তক্ষরণ, বড় অস্ত্রোপচার, রক্তশূন্যতা, রক্ত রোগ (যেমন থ্যালাসেমিয়া), ক্যানসার, পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে শরীরে রক্ত গ্রহণের প্রয়োজন দেখা দেয়।

টি/আ

 

Leave a Comment