গলব্লাডার পলিপ

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
  • ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯

খুব বেশি রোগটি দেখা যায না। কেন যে হয় তাও সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে শতকরা পাঁচ জনে একজনের গলব্লাডার পলিপ হয়। আসলে রোগটি তেমন উপসর্গ সৃষ্টি করে না। সে জন্য রোগী চিকিৎসকের কাছে যান না। যার ফলে ডায়াগনসিস কম হয়। সঠিক কোন কারণ না জানা গেলেও পিত্তথলির পাথর এবং বযসের সাথে সাথে রোগটির প্রকোপ বাড়তে থাকে। গলব্লাডার পলিপ ছেলেদের বেশী হয় যদিও পিত্তথলির পাথর মেয়েদের বেশি হয়। গলব্লাডার পলিপের প্রায় ৯০ ভাগই নির্দোষ। অর্থাৎ এখান থেকে খারাপ কিছু হবার কোন সম্ভাবনা নেই। পলিপ যদি আবার ১০ মিলি মিটারের কম হয় তবে সেখান থেকে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা নেই। অনেকদিন একইভাবে থাকে। আর ১০ মিলিমিটারের চেয়ে বড় যদি পলিপ হয় তবে সেখান থেকে গলব্লাডারে ক্যান্সার হতে পারে।

গলব্লাডার পলিপে কোন উপসর্গ দেখা যায় না। পেটের অন্য কোন সমস্যার কারণে যখন আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয় তখন পলিপ ধরা পড়ে। অনেক সময় রোগী স্বেচ্ছায় বা সচেতনতার কারণে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। তখনও পলিপ ধরা পড়তে পারে। পলিপ যদি ১০ মিলিমিটারের বড় হয় তবে অপারেশন করা হয়। এক্ষেত্র কলেসিস্টেকটমি করে গলব্লাডার কেটে ফেলা হয়। ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে অপারেশন করা যায় যা সহজ এবং রোগী দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে রক্তপাতও কম হয় এবং দাগ থাকে না। পলিপের আকার যদি ১৮ মিলিমিটারের বড় হয় তবে অবশ্যই অপারেশন করতে হবে। নাহলে ক্যান্সার হতে পারে। পলিপ যদি ১০ মিলিমিটারের কম হয় তবে ৬-১২ মাস পরপর আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে দেখতে হবে। যদি পলিপের আকার বড় হয় তখন অপারেশন করতে হবে। আর পলিপ যদি স্বাভাবিক থাকে তবে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।

ডাঃ পাভেল
এম ডি নিউরো ( কোর্স )
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল 

Leave a Comment