বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষায় কি কি করতে হয়?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯

৬মাস বা এর বেশি সময় ধরে বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করেও প্রেগন্যান্ট না হলে ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে। বেশিরভাগ নারীই চিকিৎসা ছাড়াই প্রেগন্যান্ট হোন, কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। নিম্নের টেস্ট গুলি বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় চেক করানো হয়ে থাকেঃ

আল্ট্রাসনোগ্রাম : ট্রান্সভ্যাজাইনাল আল্ট্রসাউন্ড আপনার রি প্রোডাক্টিভ অঙ্গ সম্বন্ধে ধারনা প্রদান করে যেমন – আপনার ওভারি, ফেলোপিয়ান টিউব, জরায়ু, চারভিক্স, যৌনাঙ্গ। এটা মূলত আপনার জননাঙ্গের সুস্থতা পরীক্ষা করে। কখনো বিনাইন ইউটেরাইন টিউমার বা এন্ডোমেট্রিওসিস বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। ফেলোপিয়ান টিউবে ব্লক থাকলে তাও এই পরীক্ষায় ধরা পড়ে।

রক্ত পরীক্ষা : হরমোনের মাত্রা ডিম্বস্ফোটনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। হরমোনের মাত্রার তারতম্য থেকেও বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। যদি আপনার মাসিক অনিয়মিত হয় তাহলেও ডিম্বস্ফোটন সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয় না। ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন, FSH, LH এবং TSH হরমোন চেক করা হয়।

ফেলোপিয়ান টিউবের এক্স রে : এক্স রে করার আগে সারভিক্সে রেডিও অপাক ডাই ইঞ্জেক্ট করা হয়। এই ডাই ফেলোপিয়ান টিউব দিয়ে জরায়ু পর্যন্ত যায়। এরপর এক্স রে করা হয়। এটি মাসিক শেষ হওয়ার পর পর করা হয়।

শুক্রানু পরীক্ষা : আপনার সঙ্গীও বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। তাই শুক্রানু পরীক্ষা করা হয়। শুক্রাণুর সংখ্যা কম হতে পারে বা অস্বাভাবিক গঠন হতে পারে। এমনকি শুক্রাণুর গ্লুকোজ, প্রোটিন এবং এনজাইমেও পরিবর্তন থাকতে পারে।

মূত্র পরীক্ষা : মূত্র পরীক্ষা দ্বারা জানা যায় কোন ইনফেকশান কিংবা যৌন বাহিত রোগ আছে কিনা।

Leave a Comment