শীতের পরপর সময়ের নানা অসুখ

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯

শীতকাল বিদায় নিয়ে চলে এসেছে বসন্তকাল। এই ঋতুতে অ্যালার্জি এবং অ্যালার্জিজনিত নানা সমস্যা দেখা যায় অনেক বেশি। গাছে নতুন ফুল, পাতা আসে। বাতাসে তাই থাকে অজস্র ফুলের রেণু। যা আমাদের নাক- চোখ এবং ফুসফুসে প্রবেশ করে খুব সহজেই। আর এতেই অনেকের মারাত্মক অ্যালার্জি হয়। এছাড়া এর ফলে চোখে কনজাংটিভাইটিস, ফুসফুসে জ্বালা জনিত রোগ বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এছাড়াও অনেকের ত্বকেও নানা রকমের সমস্যা হয়।

ফুলের রেণু কারণে আমাদের শরীর থেকে হিস্টামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক বের হয়। এই হিস্টামিনই নানা রকম অ্যালার্জি, চোখের জ্বালা, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য দায়ী। হিস্টামিন মানুষের রক্ত থেকে ফ্লুইড বের করে দেয়। এর ফলে চোখ লাল হয়। এছাড়া এই বসন্তেই অ্যালার্জিজনিত কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানি বাড়ে।

একজাতীয় ছত্রাক বা ফুলের রেণু শ্বাসের সাথে ফুসফুসে ঢুকে এই রোগের জন্ম দেয়। আবার হিস্টামিন নাক-কান গলার চুলকানির জন্য দায়ী। নাক বন্ধ হওয়া, পানি পড়া, নাক ও গলা খুশখুশ করা, অতিরিক্ত হাঁচি এবং চোখের নিচে কালি পড়া এসব হয় যার কারণে।

এর হাত থেকে বাঁচতে নাকে-মুখে মাস্ক কিংবা রুমাল ব্যবহার করতে হবে। শিশুরা যাতে ফুল বা ঘাস নিয়ে এই সময় খেলা না করে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা অ্যালার্জিপ্রবণ তারা দরজা জানলা বন্ধ করে রাখবেন।

ঋতু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রায় হঠাৎ তারতম্য দেখা যায়। তাই সাধারণ সর্দি-কাশির সমস্যাও বাড়ে। এর জন্য প্রথমেই কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। এমন কি গরম পানির ভাপ নেয়া ও গার্গল করা ভাল।

বসন্তের এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়া প্রভৃতি রোগ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। আর যদি গলা ব্যথা বাড়ে ও ঢোক গিলতে সমস্যা হয় তবে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এছাড়া এই ঋতুতে হাম ও ভাইরাল ফিভার হতে দেখা যায়। টাইফয়েডও দেখা দিতে পারে। ভাইরাল ফিভারে সাধারণত সর্দি-কাশির সঙ্গে মাথাব্যথা ও শরীর ব্যথা দেখা।

টি/আ

Leave a Comment