১ বছর বা তার বেশি বয়সি বাচ্চার খাদ্যতালিকা

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯

৬ মাস থেকেই শিশুকে বাড়তি খাবার দেওয়া হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাচ্চার খাবার চাহিদা ও খাবারে ভিন্নতা দেখা দেয়। অনেক মায়েরাই বুঝতে পারেন না তার বাচ্চাকে বাড়তি কি কি খাবার খাওয়াবেন। মনে রাখতে হবে বাচ্চাকে খাবার খাওয়ানোর আগে, তরল খাবার যেমন, দুধ বা ফলের রস শিশুকে দেওয়া উচিত নয়। যদি বাচ্চা বুকের দুধ পান করে তাহলে, মনে রাখবেন ঘন ঘন করে পুরো দুধ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এক বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন, দুধ ৬৫০ গ্রামের চেয়ে বেশী তাকে খেতে দেবেন না। কারণ, এতে শুধুই আপনার শিশুর খাদ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। অতিপরিমান দুধ এবং খুব সামান্য পরিমাণের খাদ্যতে আপনার শিশুর আয়রন-অভাবজনিত রক্তাল্পতা (আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া) হতে পারে। শিশুরা প্রায় নতুন খাবার খেতে অনিচ্ছুক হয়, তাই শিশুকে নতুন খাদ্য গ্রহণ করাতে আপনার একাধিক বার তাকে সেটা পরিচয় করিয়ে দিতে হতে পারে।

সকালের নাস্তা:

-- আধা কাপ আয়রন সমৃদ্ধ সিরিয়াল অথবা ১ টা সিদ্ধ ডিম, সিরিয়াল এর সাথে কিছু মৌসুমি ফল মিশিয়ে দিতে পারেন।

-- আধা কাপ খাঁটি দুধ (সিরিয়ালের সাথে অথবা সিরিয়াল ছাড়া )

-- অর্ধেক পাকা কলা

-- ২টি বড় স্লাইস স্ট্রবেরি অথবা মৌসুমি ফল

*সকালের খাবারের ১-২ ঘন্টা পর বাচ্চা খেতে চাইলে তাকে, ১ ফালি টোস্ট বা ১টি গমের তৈরি কাপকেক বা ১-কাপ কাটা ফল দিয়ে দই খাওয়াতে পারেন।

দুপুরের খাবার:

--৩০ গ্রাম ভালোভাবে রান্না করা মুরগির মাংস বা রোস্ট, ডিম সালাদ(ভর্তা ডিম)

--রান্না করা সবুজ শাকসবজি বা সব্জিখিচুড়ি আধা কাপ

বিকেলের খাবার:

--দুই-তিন টুকরা মৌসুমী ফল

--আধা ফালি গমের টোস্ট অথবা রুটির উপরে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে টোস্ট করা

রাতের খাবার:

--২-৩ আউন্স রান্না করা মাংস

--রান্না করা হলুদ, কমলা বা সবুজ শাকসবজি আধা কাপ

--ভাত কিংবা আলু সিদ্ধ আধা কাপ

--আধা কাপ খাঁটি দুধ

*মাঝেমধ্যে খাটি দুধের বদলে ঘরে তৈরি দই খাওয়াতে পারেন; এতে সহায়ক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনার জন্য ভাল।

Leave a Comment