পায়ের যত্নেই কমবে ডায়াবেটিস

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মার্চ ১৪, ২০১৯

আমরা যে ভাবে ত্বকের যত্ন নেই, ডায়াবিটিস থাকলে সে ভাবেই পায়ের যত্ন নিতে হবে। কারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মাত্র ১০ বছরেই স্নায়ু দুর্বল হয়ে পায়ের অনুভূতি কমে যেতে পারে, যাকে বলে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি৷ ডায়াবেটিসে অন্য চিকিৎসার পাশাপাশি পায়ের যত্ন নেয়া দরকার।

পায়ের যত্ন: বাইরে থেকে ফিরে দেখুন কোনো কাটা বা ব্যথা অনুভব হচ্ছে কি না। গোসলের আগে হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে পা পরিষ্কার করে, শুকনো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। আঙুলের মধ্যখান যেন শুকনো থাকে। তবে পায়ের তলা ঘামলে আঙুলের মাঝে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন না। ডায়াবেটিক রোগী কখনো খালি পায়ে হাঁটবেন না৷ মোজা ছাড়া জুতো পড়বেন না। এমন কি সেলাই না করা মোজাও পড়া যাবে না। কারণ এতে ফোস্কা পড়ে সেখানে ময়লা লেগে সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে। পায়ের নখ সোজা করে কাটুন। নখের কোণা চামড়ার মধ্যে ঢুকে গেলে নিজে কিছু না করে বা পার্লারে না কাটিয়ে পায়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন। ঠিক মাপের জুতো পড়ুন না হলে ফোস্কা পড়তে পারে।

বাড়তি সতর্কতা: পা কেটে গেলে বা ফোস্কা পড়লে ভাল করে ড্রেসিং করুন। ডায়াবেটিক ও কিডনির সমস্যা থাকলে যেখানে–সেখানে পেডিকিওর করাবেন না। বছরে একবার চিকিৎসকের কাছে পায়ের চেক আপ করান।

পেডিকিওরে সতর্কতা: পার্লারের যন্ত্র পরিষ্কার না হলে বা যিনি করবেন তার ট্রেনিং না থাকলে কিছু সমস্যা হতে পারে। পায়ের শক্ত চামড়া গরম পানিতে ভিজিয়ে নরম করে কেটে ফেললে সেখান থেকে সংক্রমণ হতে পারে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগলে পায়ে অনুভূর্তি কমে যায়। তাই গরম পানিতে পা ডোবানো বা ঝামা দিয়ে ঘষার সময় মাত্রা রাখতে না পারলে কেটে যেতে পারে।

পায়ে ঘা হলে: প্রথম অবস্থায় সাধারণ স্যালাইনে ঘা ধুয়ে জীবাণুমুক্ত গজে দিয়ে জায়গাটা ঢেকে রাখুন। ঘা না শুকানো পর্যন্ত একটু কম চলাফেরা করুন। বড় ঘায়ে বিশেষ ধরনের ডায়াবেটিক জুতা পড়তে পারেন।

টি/আ

Leave a Comment