আল্ট্রাসনোতে বাচ্চার লিঙ্গ নির্ধারণ নিয়ে কিছু কথা

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • মার্চ ১৯, ২০১৯

আলট্রাসনোগ্রাফি করে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা দেখা যায়। গর্ভাবস্থার ২০-২২ সপ্তাহ থেকেই তা প্রায় সঠিকভাবে বলে দেওয়া যায়। প্রায় বলা এ কারণে যে, সব ক্ষেত্রেই সব সময় দেখা সম্ভব হয় না। আর দেখা গেলেও এ সময় প্রায় ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক না-ও হতে পারে। বাংলাদেশের অনেক হাসপাতাল নীতিগত কারণে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ কী হবে, তা আগে থেকে জানাতে চায় না। কারণ কোন কারণে ভুল হলে তাদের রেপুটেশন নষ্ট হতে পারে বা অনেক সময় মেয়ে শিশু জানার পর অনেকে গর্ভ নষ্ট করতে চান। গর্ভের সন্তানের ছেলে না মেয়ে তা বুঝতে পারাটা অবশ্য অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। যেমনঃ

* আল্ট্রাসোনো মেশিনঃ ভালো মেশিনে ভালো দেখা যাবে। অনেক সময় দুই ঊরুর মাঝখানে পেঁচানো নাড়ি সাধারণ মেশিনে ছেলের অঙ্গের মতো দেখায়। ডপলার মেশিনে এই পার্থক্যটা নিশ্চিতভাবে বোঝা যাবে। কারণ, নাড়িতে রক্তপ্রবাহ দেখা যাবে ডপলারের মাধ্যমে।

* গর্ভবতী নারীর পেটের চর্বিঃ নারী বেশি মোটা হলে বা পেটে বেশি চর্বি থাকলে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখা কঠিন হয়।

* জরায়ুর ভেতর পানির পরিমাণঃ জরায়ুর ভেতর পানি কম থাকলে ছেলে বা মেয়ে অঙ্গ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

* গর্ভের সন্তানের পজিশনঃ গর্ভের সন্তান যদি তার ঊরু দুটি ফাঁক করে না রাখে বা দুই ঊরুর ফাঁকে নাড়ির পেঁচ থাকে বা সন্তান উল্টো হয়ে থাকে, তবে ছেলে বা মেয়ের অঙ্গটি দেখা নাও যেতে পারে।

* গর্ভকালীন সময়ঃ সাধারণ মেশিনে ২০ সপ্তাহের দিকে ছেলে বা মেয়ের অঙ্গের মধ্যে তফাতটা খুবই সামান্য। তাই অন্তত ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার শেষের দিকে অর্থা ৩৬ অথবা ৩৭ সপ্তাহের দিকে জরায়ুর ভেতর ফাঁকা জায়গা কম থাকার কারণে দেখা নাও যেতে পারে। ২৬ থেকে ৩০ সপ্তাহের মধ্যেই বেশি ভালো দেখা যায়।

Leave a Comment