কিডনিতে পাথর হলে খাবেন না এই খাবারগুলো

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মার্চ ২১, ২০১৯

কিডনিতে পাথর একটি সাধারণ বিষয়। অনেকেরই এটি হয়ে থাকে। প্রধানত শরীরে পানির অভাবে এটি হয়। পানিকে বলা হয় জীবনের উৎস। এর অভাবে যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় কিডনি পাথর তার মধ্যে অন্যতম। শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে তা ইউরিক অ্যাসিডকে তরলে পরিণত করতে পারে না। এতে আরো বেশি অ্যাসিডিক প্রস্রাব হয়। ইউরিক অ্যাসিডের কণা কিডনিতে জমে তা পাথরে পরিণত হয়। কিডনি পাথরের আরেকটি কারণ শরীরে অতিরিক্ত অক্সালেট বা ফসফেটের উপস্থিতি যা কিডনিতে থাকা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে পাথরে পরিণত করে। কিডনি পাথর প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাবার গ্রহণ জরুরি। অনেক খাবারই আমরা খাই যা কিডনি পাথর গঠনের দিকে পরিচালিত করে। এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। নিচে এমন কয়েকটি খাবার তুলে ধরা হলো-

সোডিয়াম: আপনি যদি কিডনিতে পাথর গড়ে উঠতে দিতে না চান তবে প্রথমেই সোডিয়াম খাওয়া কমাতে হবে। যেমন লবণ খেতে হবে হিসাব করে। সোডিয়াম ক্যালসিয়াম গড়ে ওঠায় সহায়তা করে এবং এটি অতিরিক্ত থাকলে কিডনিতে পাথর গড়ে ওঠে। সুতরাং, প্রক্রিয়াজাত জাঙ্কফুড খাওয়া বাদ দিতে হবে। কারণ এ ধরনের খাবারকে বলা হয় সোডিয়াম পাওয়ার হাউস। তাই বাড়ির বাইরে থাকলে কম লবণযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ভিটামিন সি: ভাবতে পারেন ভিটামিন সি কেন আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে। আসলে, ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই দরকারি। কিন্তু যৌগটি অতিরিক্ত গ্রহণে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। শরীরে ভিটামিন সি সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ৫০০ এমজি-এর মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। এটি বেশি হলে তা অক্সালেট উৎপাদন করে যার ফলে কিডনিতে পাথর গড়ে ওঠে।

কোমল পানীয়: কোমল পানীয় লোভনীয় জিনিস বটে। কিন্তু কোমল পানীয়তে যে সোডা থাকে তাতে থাকে ফসফোরিক অ্যাসিড। এটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ এর প্রভাবেও কিডনিতে পাথর হয়। তাই কোমল পানীয় বেশি পান থেকে বিরত থাকুন।

প্রাণিজ প্রোটিন: লাল মাংস, সি ফুড ইত্যাদিতে থাকা প্রাণিজ প্রোটিনও কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ। প্রাণিজ প্রোটিন শরীরের জন্য দরকার আছে। তবে তা সীমিত পর্যায়ে রাখুন। কেননা, প্রাণিজ প্রোটিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায় এবং সিট্রেইটের মাত্রা হ্রাস করে। সিট্রেইট কিডনিতে পাথর গড়ে উঠতে বাধা দেয়, যেখানে ইউরিক অ্যাসিড পাথর গঠনে সাহায্য করে।

রেউচিনি জাতীয় শাক: কিডনিতে পাথর গড়ে উঠতে বাধা দিতে চাইলে রেউচিনি জাতীয় শাকও এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা, এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার অক্সালিক অ্যাসিড যা কিডনি পাথরের জন্য সহায়ক।

পালং শাক: সবুজ শাকসবজি সবসময় স্বাস্থ্যকর এবং সর্বদা খাওয়া উচিত- এমন ধারণা আমাদের অধিকাংশেরই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ১০০ গ্রাম পালং শাকে প্রায় ১ গ্রাম অক্সালিক অ্যাসিড থাকে। সুতরাং, কিডনি পাথরের ভয় থাকলে পালং শাক এড়িয়ে চলুন। কারণ তা আপনার কিডনির অবস্থা আরো খারাপ করে তুলতে পারে। এটি পাথর ভাঙার পথ বন্ধ করে দেয়।

চিনি: কিডনি পাথরের জন্য চকলেট এবং ক্যান্ডি থেকে শুরু করে যেকোনো চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন গ্রানোলা এবং প্রোটিন বার। তাই, কিছু কেনার আগে উপাদান তালিকা চেক করতে ভুলবেন না। চিনি প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস করে এবং প্রস্রাবের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায় যা পাথর তৈরিতে সহায়তা করে।

টি/আ

Leave a Comment