স্কুলে ভর্তির আগে শিশুর জন্য যে বিষয়গুলো জরুরী

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মার্চ ২৫, ২০১৯

অধিকাংশ শিশুরই প্রথম দিকে স্কুলে যাওয়ার প্রতি প্রবল অনীহা থাকে। বাবা-মায়ের ছায়া থেকে বেরোতেই অসহায় বোধ করে সে। সন্তানের এ ধরনের সমস্যা কাটানোর প্রাথমিক দায়িত্ব অভিভাবকেরই ।স্কুলে যাওয়ার আগে বাড়িতেই প্রস্তুতি হিসেবে শিশুকে কিছু বিষয় শেখাতে হবে। যেমন-

১. অনেক বাবা-মাই আজকাল সন্তানকে আড়াই-তিন বছরে স্কুলে ভর্তি করেন। ওই বয়সে নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছে, প্রয়োজন বোঝানোর ক্ষমতাও  হয় না তাদের। এ সময়ে শিশুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।  মনোবিদদের মতে, এত ছোট শিশু স্কুলে গেলে প্রথমেই ভাবে  বাবা-মাকে আর দেখতে পাবে না।  তখন সে কাঁদতে শুরু করে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে শিশুকে বোঝাতে হবে, অফিস থেকে আপনারা যেমন নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসেন, স্কুল থেকেও সে বাসায় ফিরে আসবে।

২.বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুল শুরুর আগে শিশুকে কোনও নিকটাত্মীয় বা প্রতিবেশীর বাড়িতে খানিকক্ষণ রেখে দিন। প্রথমে শিশুটি হয়তো আপত্তি করবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই যখন বাবা-মা বা বাড়ির কেউ তাকে ফেরত নিয়ে যাবে তখন তার মধ্যে ভরসা তৈরি হবে।  

৩. শিশুকে ভর্তির পর প্রথম কয়েক দিন স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করতে পারেন। অনেক স্কুলেই ওয়েটিং রুম কিংবা অপেক্ষা করার জায়গা থাকে। শিশু ভয় পেলে ক্লাসের বাইরে এসে দেখে যেতে পারে তার বাড়ির কেউ আছে কি-না। কয়েক দিন পরে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে মিশে গেলে সে আর ভয় পাবে না।

৪. স্কুলে পাঠানোর আগে প্রস্তুতি হিসেবে বাড়িতে শিশুটিকে এক জায়গায় কোনও খেলনা দিয়ে বসিয়ে দিন। বিল্ডিং ব্লক বা রঙ করতে দিন। চেষ্টা করুন সে যেন ওটা নিয়ে অন্তত এক ঘণ্টা ব্যস্ত থাকে।

৫. অনেক শিশু টয়লেট সমস্যার কারণেও স্কুলে যেতে চায় না।এজন্য তাদেরকে দুই বছর বয়সের পর থেকে নির্দিষ্ট সময়ে পটি করানোর ও নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ইউরিন পাস করতে শেখান। তাহলে স্কুলে গেলে সে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলতে পারবে।অনেক শিশু স্কুলে টয়লেট চেপে থাকে। এতে ইউরিনাল ট্র্যাক ইনফেকশনের সমস্যাও দেখা যায় বাচ্চাদের মধ্যে।

৬.  সব প্রশিক্ষণের পরেও শিশু যদি  স্কুলে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তবে তার সঙ্গে কথা বলুন। স্কুলে তাকে কেউ বকেছে, মেরেছে বা তার স্পর্শকাতর জায়গা স্পর্শ করেছে কি না সেটা জানতে চান।প্রয়োজনে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন।

টি/আ

Leave a Comment