বেশি বয়সে বাচ্চা নিচ্ছেন?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মার্চ ২৫, ২০১৯

শারিরীক বা বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাচ্চা নিতে দেরি হতে পারে। অনেকে আবার ক্যারিয়ারের কারণে দেরি করে বাচ্চা নেন। তবে কারণ যাই হোক না কেন আজকাল একটু বেশি বয়সে প্রথমবারের মত গর্ভধারণ করা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে বেশি বয়সে প্রথম গর্ভধারণ করলে ঝুঁকিটা আর দশজনের চাইতে অনেক বেশি থাকে। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত হয়ে যাওয়া, সন্তানের বৃদ্ধি ঠিক মতো না হওয়া, প্রসবে জটিলতা, মায়ের স্বাস্থ্যহানীসহ হরেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। আর এসব থেকে মুক্তি পাবার একটিই উপায়, তা হচ্ছে কিছু নিয়ম মেনে চলা। যারা দেরি করে বাচ্চা নিতে চান বা নিচ্ছেন এই পরামর্শগুলো সেইসব স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জন্যই।

১. গর্ভাবস্থার প্রাথমিক অবস্থায়ই খুব ভালো দেখে একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করে একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করিয়ে নিন। এবং আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে পুষ্টিবিদকে সেটা জানান। তিনি এমন একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করিয়ে দেবেন যেন মা ও শিশুর শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে।

২. গর্ভবতী মা সকল রকমের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এড়িয়ে চলবেন। একই সাথে রিকশা বা মোটর সাইকেলের মতো বাহনও অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। এইসব বাহনের কারণে গর্ভপাত ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

৩. বেশি বয়সে প্রথম গর্ভধারণে প্রি ম্যাচিউর ডেলিভারি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই গর্ভধারণের ৬ মাস হতেই প্রসবের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখুন যেন একটা জরুরি সময়ে সব কিছু হাতের কাছে থাকে।

৪. বেশি বয়সে গর্ভধারণে স্বাভাবিক প্রসবের চাইতে সিজার করতেই বেশি দেখা যায়। তাই সেই অনুযায়ী আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখুন।

৫. যে হাসপাতালে ডেলিভারি করাবেন, তাদের সাথে কথা বলে রাখুন। ইমারজেন্সি আম্বুলেন্সের ফোন নম্বর হাতে কাছেই যোগাড় করে রাখুন।

৬. একটি ব্যাগে মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় সবকিছু সর্বদা গুছিয়ে হাতের কাছে রাখুন যেন খুঁজলেই পাওয়া যায়।

৭. নিয়মিত ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকুন। কোনোক্রমেই এটা অবহেলা করবেন না।

৮. এই সময়ে স্বামী একটু বেশি খেয়াল রাখবেন স্ত্রীর প্রতি। মনে রাখবেন, বয়সের কারণে তার গর্ভধারণ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। স্ত্রীর খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা সব দিকেই লক্ষ রাখতে হবে আপনাকেই।

৯. সঠিকভাবে আপনার ওজন নিয়মিত বাড়ছে কিনা লক্ষ্য রাখবেন অবশ্যই। ওজন ঠিকমত বৃদ্ধি না পাবার অর্থ শিশুর বৃদ্ধি ঠিকমত হচ্ছে না।

১০. স্ত্রীর যেন কোনো রকম মানসিক চাপ না হয়, মনে কষ্ট না হয় সেদিকেও বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে স্বামীকে। কারণ গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ যে কোনো মায়ের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।

টি/আ

 

 

Leave a Comment