ফল বনাম ফলের রস! কোনটা বেশি পুষ্টিকর?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • এপ্রিল ১৩, ২০১৯

অনেকেই আস্ত ফল খেতে চান না, ফলের রস খাওয়াটায় সোজা মনে করেন। বিশেষ করে বাচ্চাদের ফল না দিয়ে ফলের রস খাওয়ানো হয়। কিন্তু ফল আর ফলের রসের পুষ্টিগুন এক কিনা সেটা কি জানেন? প্রথমত, ফলের খোসায় সূর্যের আলো পড়লে নানা রং তৈরি হয়। এই রঙিন খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন ও ফ্ল্যাভনয়েড থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপেল, স্ট্রবেরি, কমলা ইত্যাদি রঙিন ফলগুলোর খোসায় থাকে প্রচুর ভিটামিন। গোটা ফল খাওয়ার সময় আমরা এগুলো খোসাসহ খাই। কিন্তু রস তৈরি করলে খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। ফলে খোসার এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থেকে বঞ্চিত হই।

দ্বিতীয়ত, ফলমূলে রয়েছে প্রচুর আঁশ বা ফাইবার, যা অন্ত্রের জন্য ভালো। কিন্তু আমরা সাধারণত ফলের রসটা ছেঁকে নিয়ে শাঁস বা আঁশগুলো ফেলে দিই। তাই আঁশের পরিমাণ পাই কম। উপকারও অনেক কমে যায়। তাজা ফলের জুস বানিয়ে খাবার সময় আমরা সাধারণত ফলের রস টা ছেঁকে নিয়ে নেই আর পাল্পটাকে ফেলে দেই। কিন্তু ফলের পাল্প এ আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

ফলের রসে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি। একটি ফল তার খোসার ভেতরে থাকলে বেশ কিছুদিন পর্যন্ত জীবাণুমুক্ত থাকে। কিন্তু ফলের রস তৈরি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জীবাণুর আক্রমণ ঘটে। তাই সঠিকভাবে সংরক্ষণ জরুরি হয়ে পড়ে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিরা যদি আস্ত ফল খেতে না পারেন, তাঁরা রস খেতে পারেন। কিন্তু তা চিনি বা কৃত্রিম রংমুক্ত হলে ভালো হয়।

বাচ্চাদের ডায়রিয়া বা পানিশূন্যতা দূর করতে ফলের রস খাওয়ানো ঠিক নয়। বেশি রস খেলে বাচ্চাদের ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। আর ছোট্ট শিশুদের ফলের রস অবশ্যই ফিডারে বা বোতলে নয়, দিতে হবে বাটি-চামচ ব্যবহার করে। তাই শিশু কিংবা বৃদ্ধ সবার জন্যই ফলের রসের চেয়ে ফল বেশি  উপকারী।

টি/আ

 

Leave a Comment