স্ক্যাবিস বা চুলকানি

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • এপ্রিল ১৭, ২০১৯

স্ক্যাবিস বা চুলকানি রোগটিকে বাংলায় পাঁচড়া বলা হয়। খুব সহজেই স্কিনের এ রোগটি সারকোপটিস স্ক্যাবি নামক মাইট দ্বারা সংক্রমিত হয়। এ ক্ষুদ্র পরজীবী জীবাণুটি ত্বকের অগভীরে ডিম পাড়ে এবং বারোজ তৈরি করে। জীবাণু দ্বারা আক্রমণের ২ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- চাকা, তীব্র চুলকানি যা বিকেলের দিকে শুরু হয় এবং রাতে আরও তীব্র আকার ধারণ করে এবং অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। এই ছোট চাকাগুলো শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থান যেমন- কবজি, নাভি, যৌনাঙ্গ, আঙুলের ফাঁকে দেখা দিতে পারে। স্ক্যাবিস শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই হতে পারে।

তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশে এর প্রকোপ বেশি। কারণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে এ রোগগুলো বেশি হয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, বালিশ ও বিছানার চাদর দ্বারা এ রোগটি সংক্রমিত হয় বলে ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক মেছগুলোতে এ রোগটির প্রাদুর্ভাব বেশি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্ক্যাবিস প্রতিরোধে পারমেথ্রিন ও বেনজাইল বেনজোয়েটের ভূমিকা অতুলনীয়। এগুলো লোশন ও ক্রিম হিসেবে পাওয়া যায়, যা পা থেকে গলা পর্যন্ত মেখে ৮-১০ ঘণ্টা রাখতে হয়। তাই চিকিৎসকরা রাতে শোবার আগে এ ওষুধগুলো ব্যবহার করতে বলে থাকেন। সালফার মলম, লিনডেন লোশন ব্যবহার করা হয়। আর বিরক্তিকর উপসর্গের হাত থেকে রক্ষার জন্য অ্যান্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে ইনফ্যাকটেড স্ক্যাবিসের ক্ষেত্রে এন্টি-বায়োটিক সেবন করার প্রয়োজন হতে পারে এবং পরে স্ক্যাবিসের চিকিৎসা নিতে হবে।

সম্পূর্ণরূপে স্ক্যাবিস নিরাময় করতে হলে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহূত পোশাক, বিছানার চাদর সবকিছু গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এবং ভালোভাবে রোদে শুকাতে হবে। প্রতি বছর বিশ্বের জনসংখ্যার ১-১০ ভাগ লোক স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হয়। তাই বলে স্ক্যাবিস কোনো হুমকি নয়। এ রোগের উপসর্গ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সহজেই স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।

টি/আ

Leave a Comment