ভ্রুনহীন গর্ভধারণ বা ব্লাইটেড ওভাম

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • এপ্রিল ২২, ২০১৯

সাধারণত মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে কোন স্ত্রীর ডিম্বাণু স্বামীর শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হলে একটি ভ্রুণ বা জীবনের সৃষ্টি হয়। এই ভ্রুণের কিছু কোষ বিভাজিত হয়ে গর্ভফুল বা প্লাসেন্টা এবং গর্ভথলি বা স্যাক তৈরী করে । গর্ভফুল এক ধরনের হরমােন তৈরী করে। প্রস্রাবে বা রক্তে উক্ত হরমােনের উপস্থিতির মাধ্যমে জানা যায় একজন মহিলা গর্ভধারণ করেছেন কিনা। এ অবস্থায় যদি ভ্রুণটি আর অগ্রসর না হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় তবে এ ধরনের গর্ভধারণকে ভ্রুণহীন গর্ভধারণ বা ব্লাইটেড ওভাম বলা হয়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ভ্রুণের জেনেটিক বা ডিএনএ ঘটিত ত্রুটির কারণে এরকম ঘটনা ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে, আলট্রাসনোর মাধ্যমে জরায়ুতে শুধু গর্ভথলি বা স্যাক দেখা যায় কিন্তু হৃদস্পন্দনসহ ফিটাল পোল বা পরিণত ভ্রুণ দেখতে পাওয়া যায় না।

সাধারণত মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে কোন স্ত্রীর ডিম্বাণু স্বামীর শুক্রাণুু দ্বারা নিষিক্ত হলে একটি ভ্রুণ বা জীবনের সৃষ্টি হয়। এই ভ্রুণের কিছু কোষ বিভাজিত হয়ে গর্ভফুল বা প্লাসেন্টা এবং গর্ভথলি বা স্যাক তৈরী করে। গর্ভফুল এক ধরনের হরমোন তৈরী করে। প্রস্রাবে বা রক্তে উক্ত হরমোনের উপস্থিতির মাধ্যমে জানা যায় একজন মহিলা গর্ভধারণ করেছেন কিনা। এ অবস্থায় যদি ভ্রুণটি আর অগ্রসর না হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় তবে এ ধরনের গর্ভধারণকে ভ্রুণহীন গর্ভধারণ বা ব্লাইটেড ওভাম বলা হয়।

কী কারণে ব্লাইটেড ওভাম হয়ে থাকে? বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ভ্রুণের জেনেটিক বা ডিএনএ ঘটিত ত্রুটির কারণে এরকম ঘটনা ঘটে থাকে। স্বামী বা স্ত্রী কাউকে এজন্য দায়ী করা ঠিক নয়। ব্লাইটেড ওভাম গর্ভাবস্থার প্রথমদিকেই ঘটে থাকে যখন অনেক মহিলাই জানতে পারেন না যে তিনি গর্ভবতী। মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া, তলপেটে সামান্য ব্যথাসহ অল্প রক্তক্ষরণ ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।  আলট্রাসনোর মাধ্যমে জরায়ুতে শুধু গর্ভথলি বা স্যাক দেখা যায় কিন্তু হৃদস্পন্দনসহ ফিটাল পোল বা পরিণত ভ্রুণ দেখতে পাওয়া যায় না।

ব্লাইটেড ওভাম হলে প্রাকৃতিক নিয়মেই তা জরায়ু থেকে বের হয়ে আসে। তাছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হলে চিকিৎসক মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়েও জরায়ু থেকে সবকিছু বের করার ব্যবস্থা করতে পারেন। শতকরা প্রায় পাঁচ ভাগ ক্ষেত্রে ডিএন্ডসি’র প্রয়োজন হতে পারে। প্রথম তিন মাসে যে পরিমাণ গর্ভ নষ্ট হয় তার অর্ধেক হয় এই ব্লাইটেড ওভামের কারণে। পূর্বে ব্লাইটেড ওভাম হয়েছে এমন মহিলারা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। তবে বার বার ব্লাইটেড ওভামের ঘটনা ঘটলে স্বামী-স্ত্রীর দরকারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই কেবল সন্তান ধারণের চেষ্টা করা উচিত।

টি/আ

 

Leave a Comment