ব্রংকিয়েকটেসিস

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল:
  • এপ্রিল ২৩, ২০১৯

ব্রংকিয়েকটেসিস একধরনের বক্ষব্যাধি। আমাদের ফুসফুসে এই সমস্যা হয়। এই রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ অনেকটা যক্ষার মতো। ব্রংকিয়েকটেসিস রোগে আক্রান্ত রোগী অনেক পাওয়া যায় যদিও ডায়াগনোসিস হতে অনেক সময় কিছুটা দেরি হয়। এটি ফুসফুসের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এ রোগের ফলে ফুসফুসের শ্বাসনালীতে প্রদাহ দেখা দেয়। আক্রান্ত স্থানের শ্বাসনালীগুলো তখন ফুলে মোটা হয়ে যায়। ব্রংকিয়েকটেসিস এর বিভিন্ন কারণ আছে। ফুসফুসে যদি ঘন ঘন সংক্রমণ হয় তবে ব্রংকিয়েকটেসিস হতে পারে। এছাড়া নিউমোনিয়া, যক্ষ্মার সংক্রমণের পরেও দেখা দিতে পারে এই রোগ। ফুসফুসে পুঁজ জমার পরেও ফুসফুসের এই জটিল রোগ হতে পারে। শিশু ও বয়স্ক পুরুষদের এ সমস্যা বেশি হয়। বিভিন্ন উপসর্গ থাকেব্রংকিয়েকটেসিসে। যেসব লক্ষণ দেখা যায় তার মধ্যে আছে-

১. কাশি। রং সবুজ বা পুঁজ মিশ্রিত ও দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে

২. কাশির সাথে রক্ত

৩. জ্বর

৪. শ্বাসকষ্ট  

৫. বিভিন্ন জটিলতা যেমন হার্ট ফেইলিউর হতে পারে। তখন আবার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।

এই রোগ নির্ণয়ে বুকের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান সহ আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়। কফের কালচার করে দেখতে হয়। এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ । তাহলে সুনির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা দেয়া যায় । ব্রংকিয়েকটেসিস একটি জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এ রোগের চিকিৎসাও অনেকদিন করতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চলতে হয়। শিশু বয়সে হাম ও হুপিং কাশি ইত্যাদি যেন না হয় তার জন্য ভ্যাক্সিন দেয়া উচিত। যক্ষা, নিউমোনিয়া বা ডিপথেরিয়া হলে তার যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে।  

টি/আ

 

 

Leave a Comment