গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মে ২, ২০১৯

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বা এর বেশি পানিসহ পাতলা পায়খানা হওয়াকে ডায়রিয়া বলা হয়। ডায়রিয়া সাধারণত বেশীদিন স্থায়ী হয়না এবং কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে সাবধান না হলে এবং প্রতিকার করা না হলে গর্ভাবস্থায় তা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়ার ফলে শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। এ সময় পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন হয়ে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

ডায়রিয়া যত দিন চলে, তত দিন রোগীকে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। স্যালাইন শরীরে পানিশূন্যতা রোধ করে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে খাবার স্যালাইন, ভাতের মাড় বা অন্য কোনো বিশুদ্ধ পানীয় পান করালে শরীরে লবণ-পানির ঘাটতি কমবে। বাণিজ্যিকভাবে যে প্যাকেট স্যালাইন পাওয়া যায়, সেটাতে থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড, গ্লুকোজ অথবা সুক্রোজ, সোডিয়াম বাই কার্বনেট এবং পটাশিয়াম ক্লোরাইড।

ডায়রিয়ায় কতগুলো খাবার বেশ উপকারী। যেমন- গাজরের রস, কলা, হলুদের গুঁড়া ও রসুন। গাজরে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, সালফার ও ম্যাগনেসিয়াম। এটা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ও বমি রোধ করে। পাকা কলায় আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পেকটিন। এটা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়। হলুদের গুঁড়াও অন্ত্রের জীবাণু ধ্বংস করে। রসুন ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে ও প্যারাসাইট ধ্বংস করে। এটা জীবাণুনাশক ও হজমকারক।

গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া হলে BRAT ডায়েট পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। BRAT  মানে হোল Banana Rice Apple Toast। চাল হতে হবে ব্রাউন রাইস আর টোস্ট হওয়া উচিত গমের তৈরি পাউরুটির। এসব খাবারে যে ফাইবার থাকে তা পানি শোষণ করে এবং পায়খানা শক্ত করে। আপেলে পেকটিন থাকে যা ডায়রিয়া উপশম করে।

ডায়রিয়ার সময় আঁশহীন সবজি, ফলের রস, সাগু, টোস্ট বিস্কুট, এরারুট বা বার্লি, পাউরুটি, জেলি, নরম জাউ বা ভাত এ ধরনের সহজপাচ্য শর্করা দিতে হবে। চায়ের সঙ্গে মুড়ি-খইও দেওয়া যায়। ফলের মধ্যে কলা, কমলা, পাকা পেঁপে, ডাব, আপেল ও ডালিম দেওয়া যাবে। মিষ্টি, চাটনি, আচার, কাঁচা সবজি, আঁশযুক্ত খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, ভুসিযুক্ত রুটি, শসা, মাংস ইত্যাদি বাদ দিতে হবে। দুই দিনের মধ্যে যদি তা ঠিক না হয় তবে ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।

টি/আ

 

Leave a Comment