এপিডুরাল সম্পর্কিত কিছু কথা

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মে ১১, ২০১৯

এপিডুরাল একপ্রকার স্থানীয় চেতনানাশক। যেসব স্নায়ু প্রসবের রাস্তা থেকে মস্তিষ্কে ব্যাথার অনুভুতি পৌঁছায় সেগুলিকে সাময়িকভাবে অকেজো করে দেয় এটি। এটি একটি সম্পূর্ণ ব্যাথানাশক। অনেক নারী, বিশেষত যারা লম্বা সময় ধরে প্রসব ব্যাথায় রয়েছেন, তাদের জন্য এটি বেশ ভাল একটি ওষুধ।

প্রসবের সময় কিভাবে এটি দেওয়া হয়?

- এক হাতে স্যালাইন দেওয়া থাকবে।

- গর্ভবতীকে বসিয়ে এ্যানাস্থেটিস্ট মেরুদন্ডের একটি জায়গা পরিষ্কার করে নিয়ে কিছু স্থানীয় চেতনানাশক দিয়ে দিবেন।

- একটি সরু এবং লম্বা সুঁচের মাধ্যমে মেরুদন্ডের মধ্যে এই ওষুধ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সুঁচটি বসাতে ২০ মিনিট লাগে আর ওষুধ কাজ করতে আরও ১৫-২০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

- এপিডুরাল লাগানো হয়ে গেলে এর ভেতর দিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে ওষুধ দেয়া যেতে পারে। এটি নার্স করতে পারেন। এসময় মায়ের এবং বাচ্চার হৃৎপিণ্ডের গতিবেগ যন্ত্রের সাহায্যে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন:

- পা ভারী ভারী লাগা।

- রক্তচাপ কমে যেতে পারে। যেন না কমে তাই হাতে স্যালাইন দেয়া হয়ে থাকে।

- এর কারনে প্রসবের সময় দীর্ঘায়িত হতে পারে।

- কখনও কখনও বাচ্চাকে যন্ত্রের সাহায্যে বের করা লাগতে পারে। তবে বাচ্চা সুস্থ থাকলে ডাক্তার অপেক্ষা করতে পারেন। অনেক সময় ডাক্তার প্রসবের শেষভাগে ব্যাথানাশক কমিয়ে দিতে পারেন যেন মা স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসব করতে পারেন।

- যদি এপিডুরালের কারনে প্রস্রাবে সমস্যা হয় তবে রোগীকে ক্যাথেটার দেয়া হতে পারে।

- এপিডুরালের কারনে অনেক নারীর মাথাব্যাথা অনুভব করেন, ডাক্তারকে বললে এজন্য ওষুধ দিতে পারেন।

- অনেকের পায়ে ঝিম ঝিম বা সুঁই ফোটার মতন অনুভব করতে পারেন। এটি এপিডুরালের জন্য নয় বরং প্রসবের কারনে হয়ে থাকে। ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে কখন হাটাচলা করা যাবে।

টি/আ

 

Leave a Comment