গমের চারার রসে কমবে যে অসুখ

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মে ১৯, ২০১৯

আধুনিক সময়ে নতুন অনেক ধরনের অসুখ আমাদের অসুস্থ করে ফেলে। হাজার রকম অসুখে লক্ষ লক্ষ ওষুধ। সারা দিনে মনে করে, নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়াতেই দিন শেষ হয়ে যায়। তবে যদি রোগ প্রতিরোধের উপায় আরো বাড়ানো যায়, তা হলে অসুখের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়। আমাদের চারপাশেই কিন্তু রয়েছে এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান যা আপনাকে রাখবে সুস্থ। হুইটগ্রাস বা গমের কচি চারার রস এমনই এক খাবার। কিন্তু এই রসের গুণ সম্পর্কে জানেন কী, কী কী উপাদান আছে গমের চারার রসে, আর কী ভাবেই বা রস তৈরি করতে হয়।

যা আছে গমের চারায়: মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলেন, গম চারার রস মানেই সতেজ ক্লোরোফিল। আর এটি সবুজ গাছ ছাড়া আর কিছুতেই পাওয়া সম্ভব নয়। নানা খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ এই প্রাকৃতিক ঘাসে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, বি কমপ্লেক্স, ১ ও কে। তাছাড়া প্রোটিন ও ১৭ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে এই চারায়। প্রতি ২৮ গ্রাম রসে রয়েছে ১ গ্রাম প্রোটিন। ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, আলসার, কানের জ্বালাপোড়া, ত্বকের পুনর্গঠন ইত্যাদির চিকিৎসায় ক্লোরোফিল বেশ ভাল।

শরীরে কী ভাবে কাজ করে এই গমের রস?  এই রসের ৭০-৭৫ ভাগই হলো বিশুদ্ধ ক্লোরোফিল। যা বার্ধক্যজনিত ছাপ শরীরে সহজে পড়তে দেয় না। এছাড়া ক্লোরোফিল প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়ালও। শরীরের ভিতরে ও বাইরে তা অপকারী ব্যাক্টিরিয়া দূর করে। গমের চারার ক্লোরোফিল সরাসরি মানব দেহে মিশে যায়। গমের ঘাসের জুস হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসেরও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ডায়াবেটিকদের জন্য তাই অত্যন্ত উপকারী। কিডনিকে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে এটি। এতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম আছে তাই কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও গমের ঘাসের জুস খেতে পারেন।

কীভাবে তৈরি করবেন: গমের কচি চারাগুলো দুই ফালি করে নিন। ভাল করে ধুয়ে জুসারে জুস বানিয়ে নিন। বাড়তি কিছুই মেশাবেন না। এই রস ফ্রিজে জমিয়ে রাখতে পারেন। উপকার পেতে প্রতিদিন খালি পেটে খান।

টি/আ

Leave a Comment