রমজানে পেটের ক্ষতি কমানোর কিছু উপায়

  • কামরুন নাহার স্মৃতি
  • মে ২২, ২০১৯

রোজা পালনের জন্য রমজান মাস মুসলমানদের একটি পবিত্র মাস। এই মাসে সারাদিন কিছু না খেয়ে রোজা থাকার ধরুন পেটে প্রদাহ, বেচিং, বদহজম এবং অ্যাসিড রিফাক্সের মত সমস্যা প্রায়ই ঘটে। এই সমস্যাগুলি কেবলমাত্র বিদ্যমান গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হতে পারে না, কিন্তু যাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ছিল না তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। এটি প্রধানত রোজা না থাকার সময় খাওয়ার অভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। পেট খারাপ প্রতিরোধ করার জন্য এখানে বেশ কিছু উপায় উল্লেখ আছে৷ এক নজরে জেনে নিতে পারেন উপায়গুলো এবং রমজান মাস জুড়ে সুস্থ থাকুন৷

১. অত্যধিক খাওয়া এড়িয়ে চলুন। পেটে অত্যধিক খাবার থাকলে আপনার পেটের চাপ অনেক বেশি হয়ে যেত। এতে গ্যাস্ট্রিক এবং অন্যান্য রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। পেটে সীমিত হজমের এনজাইম থাকার কারণে, অতিরিক্ত খাবার হজম হতে আরো সময় নিতে হবে এবং এতে হজম প্রক্রিয়া ধীর। তাই অতিরিক্ত খাওয়া পেট ব্যথা ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে ।

২. ধীরে এবং মন থেকে খান। খাওয়ার সময় খাবার ইচ্ছা না থাকলেও জোর করে খেলে পেটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের দিকেও নজর দিতে হবে, হজম ঠিকঠাক না হলেও সমস্যা দেখা দেয়। মনে রাখবেন যে আপনার মস্তিষ্ককে বলার জন্য ২০ মিনিট সময় লাগে যাতে আপনি পূর্ণ হন- প্রথমে আপনার প্লেটের ছোট অংশ রাখুন। আপনি যে সব খাবার খান এবং এর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, সে সব আপনার মনে শান্তি আনে৷

৩. তৈলাক্ত, গভীর ভাজা এবং খুব মশলাদার খাবার ইফতারিতে সীমিত পরিমাণে রাখুন। ফ্যাট একটি তাৎক্ষণিক সমস্যা, এটি হজমে সমস্যা করে এবং রিফাক্সের ট্রিগার করতে পারে। মসলাযুক্ত খাবারগুলি এসটিফুচি ট্রিগার করতে পারে। বাজারের বেশিরভাগ খাবারই হয় ভাজা বা মশলাদার খাবার। সুতরাং, আপনার ইফতারির খাবারের পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি তৈলাক্ত বা মসলাযুক্ত সব খাবার ইফতারিতে খুব কম পরিমাণে খেতে পারেন যাতে আপনার পেটে সমস্যা না হয়৷

৪. খাওয়ার পর হাঁটার জন্য যান। আপনি যদি খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি না করেন তাহলে আপনার অম্বল এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স এর সম্ভাবনা বেশি। তাই খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটার জন্য বাইরে যান। সাধারণভাবে, আপনার নিয়মিত ব্যায়াম পরিকল্পনা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

৫. যারা অসুস্থতার জন্য নিয়মিত ঔষধ, যেমন antacids, এন্টিহিস্টামিন  গ্রহণ করেন, তাদের ঔষধ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ তবে সেটা সকালে খেলে রোজাদারদের সমস্যার সম্ভাবনা কম থাকে৷

টি/আ

Leave a Comment