বাচ্চার ঘামাচি সারাতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করছেন?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • মে ২৯, ২০১৯

টিভি বা পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই গরমে শরীরের ঘামাচি দূর করতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই ট্যালকম পাউডার শরীরের জন্য কতটা উপকারী বা ক্ষতিকর তা ভেবে দেখেছেন? শুধু বড়রাই নয়, ছোটদের কোমল ত্বকেও বিভিন্ন ক্যমিক্যাল সমৃদ্ধ পাউডার ব্যবহার করা হয়। অনেক বাবা মায়ের প্রশ্ন থাকে, বাচ্চার ঘামাচির জন্য কোন ব্র্যান্ডের পাউডার ভালো হবে? কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করেন, এতো পাউডার দিচ্ছি তবুও বাচ্চার ঘামাচি আবার উঠে কেনো?

আমরা সবাই কমবেশি জানি যে,  ঘাম থেকে ঘামাচির উৎপত্তি। ঘামাচি মানুষের খুব সাধারণ একটি ত্বক-জনিত সমস্যা এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রে , শরীরের যেসব জায়গার ঘাম সহজে শুকিয়ে যায় না, বেশ কিছুক্ষণ ত্বকেই থাকে সেসব স্থানে ছোট ছোট লালচে র‍্যাশ দেখা যায়।  বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কপাল, পিঠ কিংবা বুকে ঘামাচি বেশি।

ঘামাচি হলে, জায়গাটিতে অস্বস্তি আর চুলকানি হয় যা কষ্টকর। কিন্তু এটি তেমন ক্ষতিকর সমস্যা নয়, নিজে থেকেই সেরে যায়। ঘামাচির অংশটি চুলকালে কিংবা তেল বা পাউডার জাতীয় কিছু ব্যাবহার করলে অবস্থার অবনতি হতে পারে। বিশেষ করে বেশি চুলকালে, অনেক সময় হাতের নখ কিংবা আশেপাশের ধুলাবালি থেকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে, ফলশ্রুতিতে পুঁজ হতে পারে। কিংবা কারো কারো জ্বরও আসতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাই ট্যালকম পাউডার ঘামাচি সারায় না, বরং বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হতে পারে।

বেশীরভাগ ব্র্যান্ডের বেবি পাউডার ট্যাল্কই হয়, আর ট্যাল্ক বিভিন্ন খনিজ উপাদান এবং কিছু রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি খুব সূক্ষ্ম গুঁড়ো যা সাধারণত ঘর্ষণ প্রতিরোধে কিংবা  কিছুকে মসৃণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ঘামাচি ভালো করার সাথে কিংবা গরম কমানোর সাথে এই উপাদানগুলোর কাজের কোন সম্পর্ক নেই। অন্যান্য বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হলেও, আমাদের শরীরের জন্য ট্যাল্ক হতে পারে মারাত্মক হুমকিস্বরূপ, কারণ বেশীরভাগ ট্যাল্কেই এমনকি বেবী পাউডারেও থাকতে পারে অ্যাসবেসটস (asbestos) নামক একটি উপাদান, যেটি হতে পারে ক্যান্সারের উল্লেখযোগ্য একটি কারণ।

পাউডার দিলে কয়েক মিনিটের জন্য ত্বকে আরাম অনুভূত হলেও, প্রকৃতপক্ষে এগুলো কিছুক্ষণ পর রোমকূপ-গুলোকে বন্ধ করে দেয়, যা ঘামাচি সারানোর পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও পাউডারের গুড়া খুব সহজেই বাচ্চার নিঃশ্বাসের সাথে ফুসফুসে পৌঁছে যেতে পারে, এবং নিউমোনিয়া, প্রদাহ এবং শ্বাস-যন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই, বাড়ির শিশু যখন পাউডারের ডিব্বা হাতের কাছে পেয়ে খেলতে থাকে তখন তাকে খেলতে উৎসাহ না দিয়ে, শিশুর হাতের নাগালের বাইরে রেখে দিন।

টি/আ

 

 

Leave a Comment