গর্ভাবস্থায় এপেন্ডিসাইটিস

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুন ১৮, ২০১৯

এপেন্ডিসাইটিস কি এবং কেনো হয় সেটা আমরা সকলেই কমবেশি জানি। গর্ভাবস্থায়ও একজন নারী এপেন্ডিসাইটিস-এ আক্রান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারই রোগীকে সুস্থ করার একমাত্র উপায়। হাজারে মাত্র একটি ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এপেন্ডিসাইটিসের প্রকোপ দেখা যায়। সাধারণত প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারেই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। লক্ষনঃ

- পেটে নাভির কাছে ব্যথা এবং ঘন্টা কয়েকের মধ্যে ডানদিকে সেটা চলে যাওয়া।

- বমি করা বা বমি ভাব হওয়া - জ্বর - একদম খিদে না থাকা। যদি রোগী তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে পৌঁছে গিয়ে এপেন্ডিসাইটিসসে আক্রান্ত হয় তাহলে ব্যথা অনেক উপরে প্রায় পাঁজরের কাছেও বোধ হতে পারে। কারণ বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে এপেন্ডিক্সও ওপরে উঠে আসে। সবাই জানে যে গর্ভাবস্থায় শুরু থেকেই বমি বা বমি ভাব শুরু হয় তাই এপেন্ডিসাইটিসের বমিটা গর্ভাবস্থার জন্যই হচ্ছে এই ভুল ধারণা হতেই পারে। তফাত হচ্ছে প্রথমে ব্যথা তারপর বমি ঠিক এরকমটা এপেন্ডিসাইটিসে হয়, যেটা গর্ভাবস্থায় হয় না। আর বমি গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাসের পর আর থাকেনা। তাই প্রথম তিনমাসের পরেও যদি বমি হতে থাকে তবে এপেন্ডিসাইটিসের কথা ভাবা উচিত। গর্ভাবস্থায় জ্বর বা জ্বর ভাব, বমি ও ব্যথার সাথে যদি ক্ষুদামন্দা থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়া উচিত। সময়মতো শল্যচিকিৎসা এবং এন্টিবায়োটিক দ্বারা গাইনী ডাক্তাররা এর চিকিৎসা করে থাকেন।

টি/শা

Leave a Comment