জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল কখন খাওয়া উচিত নয়

  • কামরুন নাহার স্মৃতি
  • জুন ২০, ২০১৯

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া হয় অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করতে কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল অনেকসময় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল কখনো গর্ভপাত ঘটাতে সাহায্য করে না। খাবার পিক পরিবার পরিকল্পনার নিয়ম পদ্ধতি নয়। তবে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া খাবার পিল না খাওয়ায় ভালো। জরুরী জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল কখন খাওয়া উচিত নয় জেনে নিন একনজরে

- ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার ব্যাপারে সাবধাবতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ডায়াবেটিস একটি হরমোনজনিত রোগ। দেহের অগ্ন্যাশয় প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরিতে ব্যর্থ হলে এ রোগ হয়৷ সেসময় রক্তে শর্করার পরিমাণে তারতম্য দেখা যায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন মহিলার শরীরে নানা রকম পরিবর্তন দেখা যায়, তাই এসময় সাবধান হওয়া জরুরী।

- হাত বা পায়ে একটানা ব্যথা থাকলেও জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া উচিত নয়।

- জন্ডিস সাধারণত হেপাটাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। তবে অনেকসময় পিত্তথলী থেকে পিত্তরস বের হতে না পারলেও হয়। এ জন্ডিসে আক্রান্ত হলে ত্বকে চুলকানির সৃষ্টি হয়, যা অসহনীয় হয়ে উঠে। তাই এসময় জরুরী জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল না খাওয়ায় ভালো।

- লিভারের কোন রোগ জন্মনিয়ন্ত্রন পিল খাওয়া যাবে না, রক্তচাপে যারা ভোগেন তাদেরও পিল না খাওয়ায় ভালো।

- মাইগ্রেন কতোটা কষ্টদায়ক তা মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বোঝা সম্ভব নয়। মাইগ্রেনে আক্রান্ত রোগীর প্রচন্ড মাথাব্যথার সঙ্গে বমি হতে পারে। মাইগ্রেনের রোগী চোখে অস্বচ্ছ দেখে, বমি হয়, প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয়, মাথার মধ্যে টিপ টিপ করা ইত্যাদি। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাবেন না।

- হাঁপানি রোগীদেরও জন্মনিয়ন্ত্রণ খাবার পিল খাওয়ায় সাবধান হতে হবে। হাঁপানির লক্ষণ, যেমন - কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ অনুভব, জোরে জোরে শ্বাস পড়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল না না খাওয়ায় উচিত।

- জরায়ুর মুখে বেশির ভাগ মহিলারই ক্যান্সার দেখা যায়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে জরায়ুমুখের ক্যান্সারে মৃত্যু হচ্ছে শতাধীক নারীর, যা কাম্য নয়। স্তন ক্যান্সারে ভোগে এমন নারীর সংখ্যাও নিছক কম নয়। জরায়ুমুখের বা স্তনের ক্যান্সার কিংবা শরীরে টিউমার থাকলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া উচিত নয়। অপারেশন করতে চাইলেও তিন থেকে ছয় বছর আগে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া বন্ধ করা উচিত।

কেএস/

Leave a Comment