ভুলে যাওয়া মোটেও মামুলি রোগ নয়

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুন ২৭, ২০১৯

ভুলে যাই সবাই। বয়স যত বাড়ে, ভুলে যাওয়াও তত বাড়ে। শরীর যেমন বুড়ো হয়, মস্তিষ্কও তেমনই বুড়ো হয়। আলমারির চাবি বা ব্যাংকের চেকবই কোথায় রেখেছেন ভুলে যান অনেকেই, একটু পর আবার মনে পড়ে। সদ্য দেখা সিনেমার নামও ভুলে যান কেউ কেউ। আমাদের চারপাশে এই ভুলে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই টুকটাক ভুলে যাওয়াকে কেউ অসুখ বলে মনে করেন না।

কিন্তু এই প্রবনতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকলেই বিপদ। চাবি বা চিরুনি কি কাজে লাগে এটা যদি কেউ ভুলে যান বা পায়জামাটা কিভাবে পরতে হয় বা নিজের বাড়ি কোন গলিতে তা কেউ গুলিয়ে ফেলেন, তবে তা রীতিমতো চিন্তার ব্যপার। ভুলে যাওয়া রোগকে শুদ্ধ বাংলায় বলে 'স্মৃতিভ্রংশ' বা ইংরেজিতে 'আলঝাইমার্স' রোগ।

এক জার্মান মনোবিদ ১৯৩৭ সালে এই রোগটি আবিষ্কার করেন। ডিমেনশিয়া বা চিত্তভ্রংশতা দিয়ে এই রোগের শুরু হলেও মস্তিষ্কের অন্যান্য কাজ যেমনঃ চিন্তা, বুদ্ধি, বিবেচনা, যুক্তি, তর্ক, আবেক, মেধ সবই ধীরে ধীরে লোপ পায় । কে যেনো মস্তিষ্কের কোষ থেকে ইরেজার দিয়ে ঘষে ঘষে বেশ কিছু স্মৃতিকে চিরিকালের জন্য মুছে দেয়। নিজের আত্মীয়দের চিনতে পারেন না। ধীরে ধীরে রোগী একেবারেই পরনির্ভরশীল হয়ে উঠে। কারণঃ ৬৫ বছরের পর থেকে এই রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। অন্তত ১০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হন। তবে ৪০-৫০ বছর বয়সিরাও এ রোগে ভুগতে পারেন। ব্রেইন স্ট্রোক, কিছু ঔষধের সাইড ইফেক্ট, মাথার কোনও ইনফেকশন, ব্রেইন টিউমার, ডিপ্রেশন, মাথায় চোট, দীর্ঘমেয়াদি কোনও রোগ থেকে আলঝেইমার হতে পারে।

টি/শা 

Leave a Comment