সার্ভাইকাল পলিপ! কেন হয়? প্রতিকার কী?
- তাসফিয়া আমিন
- জুলাই ১২, ২০১৯
আর দশটা মেয়েলী সমস্যার মতো সার্ভাইক্যাল পলিপ অন্যতম একটি। এটি মুলত জরায়ুর সমস্যা। যার ফলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবসহ (পিরিয়ড) বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। জরায়ুর নিচের অংশকে বলা হয় সার্ভিক্স। আর এই সার্ভিক্সে পলিপ হলে তাকে সার্ভাইকাল পলিপ বলে। সার্ভাইকাল পলিপ হলে সার্ভিক্সে লাল রঙ্গের আঙ্গুলের মত বৃদ্ধি হয়। তবে সার্ভাইকাল পলিপ কেন হয়, তা পুরোপুরি জানা যায়নি।
গবেষকদের দাবী, ইনফেকশনের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। ইস্ট্রোজেন হরমোন বৃদ্ধির সাথেও সার্ভাইকাল পলিপের একটি সম্পর্ক আছে। এছাড়া সার্ভিক্সের রক্তনালীতে রক্ত জমাট হলেও এমনটি হতে পারে। সার্ভাইক্যাল পলিপ হলে কীভাবে বুঝবেন? সার্ভাইক্যাল পলিপ হলে সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স তথা সহবাস বা যৌনমিলনের পরে অনেক সময় রক্ত বের হয়। দুই মাসিক (পিরিয়ড) এর মধ্যবর্তী সময়ে ব্লিডিং হওয়া। কিংবা মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও ব্লিডিং হওয়া।
এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে মলমূত্র ত্যাগের সময় রক্তপাত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্ভাইকাল পলিপে সবসময় উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। অর্থাৎ, অনেক সময় উপসর্গ ছাড়াও এমন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি বুঝতে হয়ত দেরি হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসকগণ খুব সহজেই এই রোগের ডায়াগনসিস করতে সক্ষম হন। আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে সহজেই রোগটি ধরা যায়।
অনেক সময় আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা লাগতে পারে। সার্ভাইকাল পলিপ সাধারণত ক্যান্সার জাতীয় বড় কোন সমস্যা নয়। তবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত। এর চিকিৎসাও খুব সহজ। প্রায় রক্তপাতহীনভাবেই ছোট্ট একটা অপারেশনের মাধ্যমে পলিপ দূর করা যায়। এ অপারেশনে হাসপাতালে ভর্তি থাকার তেমন প্রয়োজন নেই।
টি/শা
