জন্ডিস প্রতিরোধ সম্পর্কে জানুন একনজরে

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
  • জুলাই ১৭, ২০১৯

জন্ডিস নিজে কোন রোগ নয়। এটি রোগের উপসর্গ । লিভারে প্রদাহ বা হেপাটাইটিস হলে জন্ডিস দেখা দেয়। লিভার বা যকৃতের কোষগুলো কোনো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ড্রাগ বা অ্যালকোহলের কারণে নষ্ট হতে থাকলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে জন্ডিস দেখা দেয়।আমাদের দেশে জন্ডিস নিয়ে অনেক ভুল ধারণা চালু আছে। চিকিৎসা নিয়ে আছে অনেক ভ্রান্ত বিশ্বাস। এসব থেকে বাঁচতে হলে সঠিক তথ্য জানতে হবে।

জন্ডিস থেকে বাঁচতে হলে সব সময় বিশুদ্ধ খাদ্য ও পানি খেতে হবে। যেখানে সেখানে খাবার খাওয়া যাবেনা । পানির ব্যাপারে খুব সাবধান হতেই হবে। সন্দেহ হলে ফুটিয়ে পানি পান করতে হবে।  শরীরে রক্ত নেওয়ার দরকার হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। রক্তে ভাইরাস আছে কিনা দেখতে হবে। যে কোন জায়গা থেকে রক্ত নেয়া যাবেনা ।  ডিসপোজিবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করাটা খুবই জরুরি। একজনের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ আরেকজন কোনভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন না।  হেপাটাইটিস এ এবং  হেপাটাইটিস বি-এর টিকা প্রত্যেকেরই নেওয়া উচিত। জন্ডিস হলে টিকা নিয়ে কোনো লাভ হয় না। তাই সুস্থ থাকতে আগেই টিকা নিতে হবে। হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে প্রথম মাসে একটি, দ্বিতীয় মাসে একটি বা ছয় মাসের মধ্যে একটি ডোজ দেওয়া হয়। হেপাটাইটিস এ-এর ক্ষেত্রে একটি ডোজই যথেষ্ট।

যারা সেলুনে শেভ করেন, তাদের ব্লেডের দিকে  খেয়াল রাখতে হবে । আগে ব্যবহার করা ব্লেড বা ক্ষুর যেন  পুনরায় ব্যবহার করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেলুনে শেভ না করাই উত্তম। তবে সেলুনে শেভ করলে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।

জন্ডিস হলে ভয় না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে যাতে না হয় সেজন্য অবশ্যই নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।

কেএস/

Leave a Comment