আপনার অভ্যাসের কারণেই জমছে পেটে বিচ্ছিরি মেদ

  • কামরুন নাহার স্মৃতি
  • জুলাই ২৫, ২০১৯

পেটে মেদ জমে গেলে দেখতে বিচ্ছিরি লাগে। পেটের মেদের কারন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেটের মেদ জমা স্থান থেকে মেদ কমানো বেশ কঠিন কাজ। তাই জানুন কিভাবে আপনার অভ্যাসের কারণেই জমছে পেটে বিচ্ছিরি মেদ।

১. শারিরীক ব্যায়াম সুস্থ থাকার জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়। দেহের আকৃতি ঠিক রাখতে শারিরীক ব্যায়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন নিয়মিত শারিরীক ব্যায়াম শুরু করবেন তখন পেটের মেদ ধীরেধীরে কমতে শুরু করবে। শারিরীক ব্যায়াম নিয়মিত করলে পেটের মেদ লুকানোর জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পড়ার প্রয়োজন পড়বে না।

২. রাতে সবসময় ঘুমানোর বেশকিছু আগে খাবার পর্ব সেড়ে নেওয়া উচিত। খাবার হজমের জন্য সময় প্রয়োজন। পেটভরে খাবার খেয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লে সেই খাবার সঠিকভাবে হজম হয়না। এতে করে পেটে মেদ জমা হয়।

৩. অনেকের ধারণা মন খারাপের সময় বেশি খেলে মন ভালো হয়ে যায়। তবে এটি কোন সমাধান না। এতে আপনার মানসিক চাপ কমে না, শুধু পেটের মেদ বাড়া ছাড়া। খাবারের প্রতি এমন ভুল ধারণা পুষে না রেখে, শারিরীক ব্যায়াম করুন এতে মেদ কমবে। প্রয়োজনে ইয়োগা করুন, এটি দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে।

৪. কম প্রোটিনযুক্ত খাবার মেদ বাড়িয়ে তোলে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। যখন নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ করা না হয় তখন পেটে মেদ জমে। এজন্য সঠিক সময় এবং সঠিক বিরতিতে খাবার গ্রহণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৫. প্রাপ্ত বয়সের মানুষের জন্য দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। তাই কম ঘুমিয়ে বেশি সময় জেগে থাকলে হরমোন উৎপাদন বাড়ায় এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগায়।

৬. মদ্যপান করলে দেহের ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে পেটের মেদও বাড়ে।

৭. পকেট ও প্রক্রিয়াজাত করা খাবার দেহের ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ায়। এই খাবারগুলোতে চিনি ও ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে যা পেটের মেদ বাড়ানোর জন্য দায়ী।

৮. বংশগত কারণেও হতে পারে পেটের মেদ। পরিবারের মধ্যে বাবা-মায়ের মেদ থাকলে সন্তানেরও মেদ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

কেএস/

Leave a Comment