কোমর ব্যথায় যা করবেন, যা  করবেন না

  • রোজী আরেফিন
  • আগস্ট ৪, ২০১৯

সাধারণত সারা ক্ষণই বসে থাকতে হয় এমন কাজ যারা করেন তাদের ক্ষেত্রে পাশাপাশি  চল্লিশ পেরিয়ে যাওয়া নারীদের ক্ষেত্রেও কোমর ব্যাথার সমস্যাটা একটু বেশী দেখা যায়। কোমর ব্যথায় যারা ভোগেন তাদের  সুবিধার জন্য আজকে এমন কিছু সাধারণ নীতিমালার  কথা আমরা বলবো যেগুলোর কিছু তাদের সচরাচর এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ আবার কিছু সুন্দর করে মেনে পালন করা উচিৎ। 

কোমর ব্যাথায় যা এড়িয়ে যাওয়া উচিৎঃ

১.কখনো লম্বা সময় একটানা বসে কিংবা দাঁড়িয়ে কিছু করবেন না।যথাসম্ভব এক ঘন্টা পরপর বসে থাকার অথবা দাঁড়িয়ে থাকার অবস্থানটা খানিক পরিবর্তন করে নিবেন।

২.ফ্লোরে বা মেঝেতে উঁচু টুল বা চেয়ার ছাড়া কখনো বসবেন না, ফ্লোরে বা মেঝেতে বসলে সরাসরি পেলভিক গার্ডল নামক কোমরের হাড়ের সাথে ফ্লোরের শক্ত আঘাত লাগে যার কারনে কোমরের ব্যাথা আরো বেড়ে যায়।

৩.নরম ম্যাট্রেস অথবা ফোমের বিছানায় ঘুমাবেন না এবং শোবার সময় এক কাত হয়ে অথবা উপুড় হয়ে না শুয়ে চীৎ হয়ে শোবেন।

৪.কথায় কথায় ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না নিজে নিজে।দরকার হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক এবং অন্যান্য ওষুধপাতি খাবেন।

৫.অতিরিক্ত কোমর ব্যথায় অনেকেই ব্যয়াম করা ছেড়ে দেন একেবারে।এতে বরংচ অবস্থা আরো ক্রিটিকাল হয়,তাই কোমর ব্যথায় ব্যায়াম বন্ধ না করে ডাক্তারের অথবা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই ব্যয়াম চালিয়ে যাবেন।

৬.ভারী কাজ অথবা ভারী জিনিস বহন করলে কোমর ব্যথা প্রচন্ডরকম বেড়ে যায় তাই যাদের কোমরের ব্যথা আছে তারা কোন ভারী কাজ করবেন না এবং ভারী জিনিস বহন ও করবেন না।

৭.হুট করে উঠা থেকে বসে পরবেন না আবার হুট করে বসা থেকে উঠে পরবেন না।
কোমর বাকা করে বা অল্প উপুড় হয়েও কোন কাজ করবেন না।


কোমর ব্যথার রোগীরা যা করবেনঃ

১.প্রতিদিন একটি করে ডিম খাবেন যদি আপনার হাই প্রেসারের সমস্যা না থাকে।

২.ব্যথার জায়গায় হালকা গরম ছ্যাকা দিবেন সকাল এবং বিকেলে।

৩.অল্প করে হলেও প্রতিদিন নিয়ম করে হাটার অভ্যাস রাখবেন।

৪.প্রচুর পরিমানে পানি এবং শাকসবজী খাবেন।পাশাপাশি অবশ্যই শরীরের ওজন কন্ট্রোলে রাখবেন।

৫.বিশ্রাম নিবেন বেশী বেশী। 

৬.রাতে ঘুমানোর সময় শক্ত বিছানায় শোবেন আর মাথার নীচে পাতলা বালিশ দিবেন।

৭.ডাক্তারের সাথে কনসাল্ট করে দরকার হলে ক্যলসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাবেন।

৮.প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাবেন।মনে রাখবেন দুধ খেতে হবে ক্যলসিয়াম সেবনের দু'ঘন্টা আগে অথবা পরে।

৯.কখনো এক বিরতিহীনভাবে লম্বা সময় নিয়ে বাস জার্নি,বা রিক্সা জার্নি করবেন না।পারতপক্ষে খারাপ বা ভাঙাচোরা রাস্তায় জার্নি এভোয়েড করবেন।

১০.দুশ্চিন্তা হাহুতাশ ইত্যাদি কম করবেন।রাতে পর্যাপ্ত ঘুম যাবেন।

১১.নিয়মিত ব্যায়াম করবেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। 

পরিশেষে সময় থাকতেই আরো সচেতন হোন।পরিমিত খাদ্যভ্যাস এবং একটুখানি ব্যায়াম এর অভ্যাস করে তুলুন আশা করি কোমর ব্যাথার যন্ত্রণা থেকে আপনি কিছুটা হলেও মুক্ত থাকতে পারবেন।

ভালো থাকুন,ভালো রাখুন।

ধন্যবাদ।
 

Leave a Comment