বলকান নেফ্রপ্যাথি

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
  • আগস্ট ৭, ২০১৯

এটি একটি কিডনির রোগ। বসনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্রয়েশিয়া, রুমানিয়া, সার্বিয়ার গ্রামাঞ্চলে এই অসুখ দেখা যায়। এরিস্টলকিয়া নামে এক উদ্ভিদে এক ধরণের টক্সিন বা বিষ থাকে। এই বিষ গ্রহণে বলকান নেফ্রপ্যাথি হয়। এই রোগে ব্লাডার বা মুত্রথলিতে ক্যান্সারও দেখা যায়। অসুখটির সাথে জীনের সম্পর্কের কথাও বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন।

৩০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রোগটি বেশি হয়। কেউ যদি হঠাৎ উপরোক্ত দেশগুলিতে যায় তবে তার কিন্তু বলকান নেফ্রপ্যাথি হবেনা। দীর্ঘদিন থাকার পরে হতে পারে। একদিন টক্সিন খেলেও কিন্তু রোগটি হবেনা। দীর্ঘদিন ধরে বিষ গ্রহণ করলে এই রোগ হয়।

বলকান নেফ্রপ্যাথিতে আস্তে আস্তে কিডনি নষ্ট হয়ে যায় । তখন বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায় । বমিভাব, বমি হয়। খাবার রুচি কমে যায় । রক্তস্বল্পতা এবং তার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। চামড়ার রঙ পরিবর্তন হয়। অস্থিতে বিভিন্ন সমস্যা হয়। ক্যান্সার হলে আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া শেষপর্যন্ত আর কোন উপায় থাকেনা।

বলকান নেফ্রপ্যাথির রোগী আমাদের দেশে দেখতে পাওয়া যায়না। তবে অনেক বাঙালি এখন সারা পৃথিবীতেই পড়াশোনা বা কর্মের সুবাদে যাচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন বলকান রাষ্ট্রে থাকলে এবং উদ্ভিদের টক্সিন বা বিষ গ্রহণ করলে এই রোগ হতে পারে।

কেএস/

 

Leave a Comment