গনোরিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

  • কবিতা আক্তার
  • অক্টোবর ১৫, ২০১৯

গনোরিয়া একটি যৌনবাহিত রোগ। গনোরিয়া রোগ মূলত অনিরাপদ যৌন মিলনের মাধ্যমে ছড়ায়। তাছাড়া অপরীক্ষিত রক্ত গ্রহণ করা হলে গনোরিয়া রোগ হতে পারে। এছাড়াও প্রসবের সময় মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে প্রবেশ করানোর সময়।

নারীর গনোরিয়ার লক্ষণ:
সাধারণত প্রস্রাবের সময় নালিতে ও জরায়ু সারভিক্সে প্রদাহ হয়ে থাকে। এই রোগের লক্ষণ হলো জরায়ু গরম ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়। অনেক সময় হলদেটে স্রাব দেখা দেয়। অনেক সময় পায়ুতে প্রদাহ হতে পারে। যৌনাঙ্গে লাল,হলুদ অথবা সাদা র‍্যাশ হয়।

ফেলোপিয়ান টিউব আক্রান্ত হলে সন্তান ধারণ করতে পারে না। জরায়ুর ভেতর আক্রান্ত হলে অধিক পরিমাণ মাসিক স্রাব ও ব্যথাযুক্ত স্রাব হতে পারে।

পুরুষের গনোরিয়ার লক্ষণ:
আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনের দুই থেকে দশ দিনের মাঝে লক্ষণ প্রকাশ পায়। শিশ্মের মাথায় প্রথমে চুলকায় ও লাল হয়ে ওঠে। পরে সেখান থেকে পুঁজ বের হয়। প্রস্রাবের সময় জ্বালা যন্ত্রণা হয়।কুচকির লসিকা গ্রন্থি ফুলে যায়। সাধারণত জ্বর জ্বর ভাব থাকে।

গনোরিয়া রোগের প্রতিকার:
যৌনাঙ্গ থেকে নিঃসৃত পুঁজ থেকে পুঁজ কালচার করে রোগের জীবাণু সনাক্ত করা যায়। ভেক্সিন দিয়ে এই রোগের প্রতিকার করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেনিসিলিন ঔষধ নিলে রোগ ভালো হয়। যৌন মিলনের ক্ষেত্রে সামী স্ত্রী বিশস্ত থাকলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

কে/এস

Leave a Comment