অফিসে সারাদিন বসে থেকে কোমর ব্যথা করে? এই ব্যথায় অবহেলা নয়!

  • তাসফিয়া আমিন
  • নভেম্বর ৪, ২০১৯

কাজের ভারে কোমর ব্যথা একটু-আধটু সবারই হয়। কারও কারও এই ব্যথা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। তবে বয়স্কদের কোমর ব্যথা তুলনামূলক বেশি হয়। কেনো হয়? মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের কারণে এ ব্যথার সুত্রপাত হয়। সাধারণত এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের উপসর্গও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন কারনে কোমরে ব্যথা হতে পারে।

সাধারণত দুটি কারণে কোমর ব্যথা হয়।

১. আঘাতজনিত কারণে

২. বয়সজনিত কারণে।

কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজ করার কিছু ধরন আছে যা মেনে না চললে অল্প বয়সেই কোমরে ব্যাথায় আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকে। তাই এ ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সতর্কতা তো মেনে চলতেই হবে। প্রতিদিন সাধারণ কিছু কাজে সাবধানতা মেনে চলতে পারলে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

করনীয়ঃ

- ব্যথা না কমা পর্যন্ত শুয়ে থাকবেন।

- মেরুদণ্ড বাঁকা করে কোনো কাজ করবেন না।

- ব্যথা কমে যাওয়ার পর যেকোনো এক কাত হয়ে শুয়ে থেকে উঠবেন।

- পিঁড়ি, মোড়া ইত্যাদিতে বসা নিষেধ।

- চেয়ার-টেবিলে বসে ভাত খেতে হবে।

- টিউবওয়েল চেপে পানি ওঠানো যাবে না।

- ফোমের বিছানায় (নরম বিছানায়) শোয়া নিষেধ।

- দাঁড়িয়ে রান্না ও কাজ করতে হবে।

- অনেকক্ষণ একই আসনে বসে থাকবে না। মাঝেমধ্যে দাঁড়িয়ে ঘোরাফেরা করবেন।

- উপুড় হয়ে শোবেন না।

- কোনো জিনিস তোলার সময় হাঁটু ভেঙে কোমর না বাঁকিয়ে সোজা হয়ে বসে তুলবেন।

- ঝরনায় অথবা সোজা হয়ে বসে গোসল করবেন।

- ব্যথা থাকা অবস্থায় কোনো প্রকার ব্যায়াম করবেন না।

- শরীরের ওজন কমাতে হবে।

- সিঁড়িতে ওঠার সময় ধীরে ধীরে উঠবেন, যাতে মেরুদণ্ড বাঁকা না হয়।

- যেকোনো ধরনের মালিশ নিষেধ।

- টয়লেটে কমোড ব্যবহার করবেন।

অনেকেই কোমর ব্যথা হলে বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলে। এটা একেবারে ঠিক নয়। বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন। হালকা ব্যথা হলে ওষুধ এবং পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। তীব্র ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি থেকে ফিজিওথেরাপি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তিন-চার সপ্তাহ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রাখা হতে পারে।

কে/এস

Leave a Comment