আপনার পরিবারের বা আশেপাশের কারো স্ট্রোক হলে, কীভাবে বুঝবেন?

  • তাসফিয়া আমিন
  • নভেম্বর ২০, ২০১৯

  স্ট্রোক কী? প্রথমেই জেনে নিন স্ট্রোক কি এবং এসম্পর্কিত কিছু কথা। আমরা জানি মস্তিষ্ক আমাদের সারা শরীর পরিচালনা করে তাই এটি দেহের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এতে ছোট-বড় অসংখ্য রক্তনালী দ্বারা রক্ত সংবহিত হয়। এই সংবহিত রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্ক পুষ্টি পদার্থ গ্রহণ করে তার স্বাভাবিক ক্রিয়া পরিচালনা করে। কিন্তু কোনো কারণে যদি আমাদের মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকে স্ট্রোক বা ব্রেইন স্ট্রোক বলে।

স্ট্রোক সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ

১. ইসকেমিক (Ischemic) স্ট্রোক: এ ধরনের স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালীর অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ফলে ওই রক্তনালী দিয়ে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের স্ট্রোক দেখা যায়।

২. হেমোরেজিক(Hemorrhagic) স্ট্রোক: এ ধরনের স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়ে যায় এবং রক্তপাত হয়। এ ধরনের স্ট্রোক তুলনামূলকভাবে বেশি মারাত্মক। তাৎক্ষণিক রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।

স্ট্রোকের লক্ষণ ও উপসর্গসমূহঃ সাধারণত রোগীরা দু' ধরনের স্ট্রোকেই প্রায় একই ধরনের লক্ষণ এবং উপসর্গ নিয়ে আসতে পারে।

যেমনঃ

- হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া

- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

- শরীরের একপাশ অবশ হয়ে যাওয়া

- মুখ বেঁকে যাওয়া, হাসলে মুখ অন্য পাশে চলে যাওয়া

- কথা বলতে না পারা

- কথা জড়িয়ে যাওয়া

- গিলতে সমস্যা হওয়া

- হাঁটতে না পারা

- বমি বমি ভাব বা বমি

- চোখে একটি জিনিস দু'টি দেখা

- হঠাৎ চোখে না দেখা

- ঘুম ঘুম ভাব

- প্রচণ্ড মাথাব্যথা প্রভৃতি।

অনেকের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ-উপসর্গগুলো হঠাৎ দেখা দেয় আবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়। একে ট্রানজিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক (Transient Ischemic Attack) বলে।। এটিও একধরনের স্ট্রোক, তবে মিনি স্ট্রোক। মনে রাখতে হবে যে, এই মিনি স্ট্রোক হচ্ছে বড় ধরনের স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ। তাই আপনার পরিবারের কারো বা প্রতিবেশি কারোর এরকম দু-একটা লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে অথবা হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

কে/এস

Leave a Comment