শিশুরা যখন অ্যাজমায় আক্রান্ত

  • কবিতা আক্তার
  • ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯

সদ্যজাত থেকে বায়োবৃদ্ধ সবারই হাঁপানি সমস্যা হতে পারে। তবে শিশুদের বেশি হাঁপানিতে ভু্গতে দেখা যায়। মোট হাঁপানি রোগীর অর্ধেকের বয়স ১০এর মধ্যে। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদেরই বেশি শিশু বয়সে এই রোগ হয়। বিশ্বের প্রায় ১০কোটি লোক শ্বাসনালীর সচরাচর সমস্যা অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়।

শিশুদের হাঁপানিতে বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হয় শ্বাসনালীর হাইপার রেসপোনসিভ নেসকে। আসলে বড়দের তুলনায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। তাই তাদের বারবার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট এর সংক্রমণজনিত কারণে সর্দিকাশি হওয়ার প্রবণতা বেশি। কিছু কিছু শিশুর রেসপিরেটরি ট্রাক্ট এর সংক্রমণের ফলে শ্বাসনালীগুলোতে হাইপার ইরিটেবিনিটি দেখা দেয় অর্থাৎ অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এই ক্রনিক ইনফ্লামেশনের ফলে বাহিরে থেকে কিছু শ্বাসনালীতে ঢুকলেই শুরু হয় সংকোচন এর ফলস্বরুপ হাঁপানি।

অনেক শিশুদের প্রায়ই ঠান্ডা লাগে অর্থাৎ নাক দিয়ে পানি পড়ে কাশি হয় বিশেষ করে রাতে। আসলে কিন্তু এই লক্ষণগুলো ছোট শিশুদের অ্যাজমার প্রাথমিক লক্ষণ। পরে অবশ্য বড়দের মতো অন্যান্য লক্ষণগুলোও প্রকাশ পায়। যেমন - বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই করা, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট, ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা।

কে/এস

Leave a Comment