পারকিনসন রোগ

  • কবিতা আক্তার
  • ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯

পারকিনসন রোগ মস্তিষ্কের এমন এক অবস্থা যাতে হাতে ও পায়ের কাঁপুনি হয় এবং আক্রান্ত রোগী নড়াচড়া, হাঁটাহাটি করতে অপারগ হয়। এই রোগ সাধারণত ৫০ বছরের বয়সের পরে হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে যুবক যুবতীদের হতে পারে। এই ক্ষেত্রে রোগটি তার বংশে রয়েছে বলে ধরা হয়।

স্নায়ু কোষ এক ধরনের নির্যাস তৈরি করে যাকে ডোপামিন বলে। ডোপামিন শরীরের পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে। পারকিনসন রোগাক্রান্ত রোগীর মস্তিষ্কে ডোপামিন তৈরির কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।

ডোপামিন ছাড়া ঐ স্নায়ু কোষগুলো পেশি কোষগুলোকে সংবেদন পাঠাতে পারে না। ফলে মাংসপেশি তার কার্যকারিতা হারায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে পারকিনসনের কারণে রোগীর মাংসপেশি আরও অকার্যকর হয়ে উঠে, ফলে রোগীর চলাফেরা, লেখালেখি, কাজ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

পারকিনসন রোগ সাধারণত ধীরে ধীরে প্রকট রূপে দেখা দেয়। রোগী প্রাথমিক অবস্থায় হালকা হাত বা পা কাঁপা অবস্থায় থাকে। ফলে চলাফেরা বিঘ্নিত হয়। এছাড়াও চোখের পাতার কাঁপুনি, খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, সোজাসুজি ভাবে হাটা যায় না, কথা বলার সময় মুখের বাচনভঙ্গি না আসা, মুখ অনড় থাকা, মাংসপেশিতে টান পড়া বা ব্যথা হওয়া।

ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি গ্রহণ, পরিমিত খাবার গ্রহণ ও সুস্থ জীবন যাপন করলে রোগী অনেকটা সুস্থ থাকে।

কে/এস

Leave a Comment