শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • তাসফিয়া আমিন
  • মার্চ ১৯, ২০২০
শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
 
১. কথা শেখার আগেই মস্তিষ্ক তৈরিঃ মানুষের মস্তিষ্কে রয়েছে সেরেবেলাম আর ব্রোকাস নামে দু’টি অংশ। এরাই ছোট্ট বাচ্চার কথা বলার সময় ঠোঁট, জিভ কীভাবে নাড়াতে হয়, তা শিখিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের এই অংশ দু’টি শিশুর কথা শেখার আগেই নিজেদের তৈরি করে নেয়।
 
২. ছোঁয়া পেলে শিশুর সাইন্যাপস পরিণত হয়ঃ মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে নিউরোন। এই নিউরোনগুলোর মধ্যে অনুভূতির বিভিন্ন খবর আদানপ্রদান হয় সাইন্যাপসের (synapses) মাধ্যমে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে শিশুরা মায়ের‌ সংস্পর্শে বেশি সময় কাটায় তাদের সাইন্যাপস অন্য শিশুদের তুলনায় বেশি সক্রিয় ও তাড়াতাড়ি কাজ করে। তাই শিশুকে মায়ের কাছাকাছি রাখতে হবে।
 
 
৩. একাধিক ভাষা জানলে মস্তিষ্কের জন্য ভালোঃ জন্মের সময় ছোট্ট সোনাকে যে ভাষাই শেখান ও সেই ভাষাই শিখে নেয়। তবে মস্তিষ্ক একাধিক ভাষা শেখারও ক্ষমতা রাখে। একাধিক ভাষা শিখলে ওর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করার পাশাপাশি কোনও কিছুতে মনঃসংযোগ করাটাও মস্তিষ্কের জন্য সহজ হয়। তাই কথা শিখতে শুরু করলেই বাবুকে একাধিক ভাষার চর্চা করান।
 
৪. মস্তিষ্কেরই বেশিরভাগ শক্তি লাগেঃ মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ বিকাশের জন্য এর কোষগুলো শরীরের থেকে শক্তি সংগ্ৰহ করে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, শিশুদের শরীর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্যই সবচেয়ে বেশি শক্তি খরচ করে । একটি শিশুর শরীরের ৬০ শতাংশ শক্তিই মস্তিষ্কের বিকাশে লাগে।
 
 
৫. প্রথম তিন বছর মস্তিষ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণঃ মস্তিষ্কের বিকাশ কোন বয়সে সবচেয়ে ভালো হয়? অনেক মা-বাবাই এই কথা জানতে চান তাঁদের চিকিৎসকের কাছে। বিজ্ঞান বলছে, জন্মের পর থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সবচেয়ে বেশি হয়। তিন বছরের মধ্যে একটি শিশুর এক হাজার ট্রিলিয়ন সাইন্যাপস তৈরি হয়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সেরেবেলাম সবচেয়ে তাড়াতাড়ি আকারে বাড়ে। এই অংশটিই পরে শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে।

Leave a Comment