ইফতারের পর এত টায়ার্ড লাগে কেন?

  • ডা.আদনান
  • মে ৫, ২০২০

তার মূলত ২ টি কারন-

১. মুয়াজ্জিন আজান শেষ করার আগেই আপনি ঝটপট ৩/৪ গ্লাস পানি, জুস, শরবত গলাধঃকরণ করে ফেলেন।

যার কারনে আপনার শরীর এত কষ্ট করে সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত যে ফ্লুইড ব্যালেন্স (পানির ও লবণের ভারসাম্য) রক্ষা করলো আপনি ঝটপট ৩/৪ গ্লাস পানীয় পান করে বেচারার সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিলেন। যে কারনে শরীরে পানি ও লবনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে Dilutional Hyponatremia তৈরি হল যার ফলে আপনার শরীর দূর্বল হয়ে পড়লো।

আরো পড়ুন : শিশুর স্বাস্থ্যকর টিফিন

২. আপনি ইফতারে বেশি পরিমানে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাংসের তৈরি বিভিন্ন রেসিপি খেলেন। অন্যান্য খাবারের তুলনায় এই প্রোটিন হজম করতে গিয়ে আপনার শরীরের অনেক বেশি এনার্জি নষ্ট হয়ে গেল। সারাদিন না খাওয়ার কারনে অলরেডি আপনার এনার্জি লো তার উপর আপনি প্রোটিন লোড করে বডির এনার্জি আরো কমিয়ে দিলেন প্রোটিন হজম করতে যে বডির অনেক বেশি এনার্জি নষ্ট হয় সেটাকে মেডিকেলীয় ভাসায় বলে SDA ( Specific Dynamic Action)

Specific Dynamic Action মানে কোন খাবার পরিপাক/হজম করতে আমাদের শরীরের কতটুকু পরিশ্রম দরকার সেটাকে বলে SDA।

আরো পড়ুন : শিশুর যেসব ওষুধ ঘরে রাখা জরুরি

কার্বোহাইড্রেট (ভাত) এর ক্ষেত্রে SDA Around ১০%, ফ্যাট এর জন্য Around ১০% কিন্তু প্রোটিন এর SDA প্রায় ৩০% । তার মানে কার্বোহাইড্রেট (ভাত,) ও ফ্যাট হজম কর‍তে আপনার শরীরের যতটুকু এনার্জি নষ্ট হয় প্রোটিন (মাছ, মাংস, ডিম) হজম করতে তার চেয়ে প্রায় ৩ গুন এনার্জি নষ্ট হয়। তাই সেহরি ও ইফতারে যত বেশি প্রোটিন (মাছ, মাংস) খাবেন সারাদিন তত তাড়াতাড়ি ও বেশি টায়ার্ড থাকবেন।

তাই ইফতার এ এক গ্লাস এর বেশি পানি/জুস পান করবেন না। দরকার হলে অল্প অল্প করে অনেক বারে পান করুন। ইফতারে যথাসম্ভব প্রোটিন জাতীয় খাবার কমিয়ে দিন।

সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন

 

Leave a Comment