ডায়াবেটিক রোগীরা কতটুকু আম খেতে পারবেন??

  • তাসফিয়া আমিন
  • মে ১৭, ২০২০

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মিষ্টি খাবার খাওয়া বারণ। মিষ্টি ফলও পরিমিত খেতে হয়। তাই বলে কি ডায়াবেটিক রোগীরা আম খাবেনা মোটেও?

আমে যে পরিমাণ সুগার রয়েছে তা থেকেই প্রায় ৮০-৯০% ক্যালরি পাওয়া যায়। যদিও আমে শর্করা এবং সুগার রয়েছে, তাই বলে একেবারে আম খাওয়া যাবে না এমনটি নয়। একটু সতর্কতার সঙ্গে ডায়বেটিক রোগী তাদের খাদ্য তালিকায় আম রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নিই কি নিয়মে ডায়বেটিক রোগীরা আম খাবেনঃ

১. ডায়াবেটিক রোগীর আম খাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিমাণ। আমের পরিমাণের ওপর রোগীর রক্তের শর্করা অনেকটা নির্ভর করবে। প্রতিদিন ছোট টুকরো করে কাটা হাফ কাপ পরিমাণ আম খাওয়া যেতে পারে। একবারে অনেক বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না। ডাক্তারের নির্দেশিত খাবার তালিকা অনুযায়ী শর্করার পরিমান ঠিক করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজে যদি পরিমাণ ঠিক করতে না পারেন তাহলে ডাক্তারের কাছে জেনে নিতে হবে।

২. রক্তের গ্লুকোজ সব সময় পর্যবেক্ষণ করতে হবে। হাফ কাপ পরিমাণ আম থেকে ১২-১৪ গ্রাম এর মত শর্করা পাওয়া যাবে। তাই একবারে অতিরিক্ত পরিমাণ না খেয়ে অল্প অল্প করে খাওয়া নিরাপদ।

৩. ডায়বেটিক রোগীর জন্য সময় মেনে খাবার খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত দিনের বেলা আম খেলে এর মধ্যে যে ক্যালরি রয়েছে তা সারা দিনের কাজের মাধ্যমে নিঃশেষ হয়ে যায়। তাই সন্ধ্যা বা রাতে আম না খেয়ে, সকাল বা মধ্য সকালের নাশতায় আম খাওয়া ভালো। রোজায় ডায়বেটিক রোগী সেহেরীতে আম খেতে পারেন।

৪. ডায়বেটিক রোগীরা আমের সঙ্গে একটু প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন- লো ফ্যাট দুধ, বাদাম বা সিদ্ধ ডিম যুক্ত করতে পারেন। যা আপনার ব্লাড গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। অনেকে চাইলে কাঁচা আমও খেতে পারেন। তবে বাড়তি চিনি যোগ করা যাবে না।

৫. আমের জুস বা স্মুদি না খেয়ে ফ্রেস আম খাওয়ার দিকে গুরুত্ব দিন। জুস বা স্মুদিতে খাদ্য আঁশের ঘাটতি থাকে। অন্যদিকে গোটা আম থেকে পাওয়া যাবে খাদ্য আঁশ যা ডায়বেটিক রোগীর জন্য উপকারি। অন্যান্য সাইট্রাস ফলের সঙ্গে মিশিয়ে ফ্রুট সালাদ করেও খেলে মন্দ হয় না।

গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার গ্রহণের সময় ঠিক রেখে, সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেলে এবং শর্করার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আম খেলে তা ডায়বেটিক রোগীর জন্য অনেক ক্ষেত্রেই উপকারি।

এছাড়াও আমে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে। হার্ট ভালো রাখে। খাবার পরিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম, পানি, খাদ্য আঁশ ও অন্যান্য উপাদান থাকার কারণে এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্যও উপকারি।

Leave a Comment