রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দূরে রাখুন চিনি

  • কবিতা আক্তার
  • আগস্ট ৮, ২০২০

মিষ্টি খাবারের প্রধান উৎসই হলো চিনি। মিষ্টি খেতে যতই ইচ্ছে হোক না কেন, চিনি থেকে দূরে থাকতে হবে এই সময়। চিনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে আমাদের শরীরে নানাবিধ রোগের জন্ম নেয়। চিকিৎসকদের মতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে নিজেকে সুস্থ রাখতে চিনি এড়িয়ে চলা জরুরি।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের প্রায় সিংহভাগ মানুষ প্রতিদিন প্রায় ২২ চামচ চিনি খেয়ে থাকেন, যা বিপদসীমার থেকে অনেকটাই ওপরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির দিনে মাত্র পাঁচ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া কখনোই উচিত নয়। চিনি যত কম খাবেন ততই সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবেন। কিন্তু আমরা সকলেই এই নিয়ম অমান্য করে সকালের চা থেকে শুরু করে ডিনার সবেতেই মিষ্টিকে উপভোগ করে থাকি। সামান্য অসতর্কতার কারণে হয়তো অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছে।

আরো পড়ুন : আপনার একটু সচেতনতা রোধ করতে পারে স্তন ক্যান্সার!

ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়ঃ এক গবেয়নায় জানা গেছে চিনি খাওয়ার মাত্রা যত বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ততই বৃদ্ধি পায়।

ওজন বাড়ায়ঃ মাত্রাতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরের ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

কিডনি রোগঃ চিনি খেলে কিডনির নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, চিনি কিডনির কার্যক্ষমতাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়।

মানসিক অবসাদঃ মাত্রাতিরিক্ত চিনি খেলে মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। কারণ রক্তে চিনির পরিমান বৃদ্ধি হলে মস্তিষ্কের ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ ধীরে ধীরে কমতে থাকে যা মানসিক উদ্বেগকে বাড়িয়ে তোলে।

আরো পড়ুন : ফলিক এসিড ট্যাবলেট কখন থেকে খাওয়া উচিত?

দাঁতের ক্ষয়ঃ অনেকেই ভাবেন মিষ্টি জিনিস দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক বিশেষ করে চকলেট। কিন্তু না চকোলেট বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তৈরিতে যে চিনির প্রয়োজন হয় সেই চিনি দাতের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ায়ঃ মাত্রাতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি বেড়ে যায়। পাশাপশি প্রস্টেট ক্যান্সার ক্ষুদ্রান্তের ক্যান্সার, গালা, ফুসফুস,বেক্টাম ও স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

Leave a Comment