দুধ হলুদ খেলে কি হয়? জানলে অবাক হবেন!

  • কবিতা আক্তার
  • আগস্ট ২৬, ২০২০

দুধের পুষ্টিগুণ কারোই অজানা নয়। আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হলো দুধ। তবে এর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে মিলবে আরও অনেক উপকারিতা। প্রদাহ কমাতে হলুদ বেশ কার্যকরী। এক সমীক্ষায় ৪৫ জন রিউম্যাটয়েড আথ্রাইটিসের রোগীকে দিনে ৫০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন খাইয়ে দেখা যায়, ঔষধ না খাওয়া সত্ত্বেও তাদের ব্যাথা কম থাকছে। ২৪৭ জন অস্টিওআথ্রাইটিসের রোগীকে কারকিউমিন খাইয়ে ৬ সপ্তাহ ধরে স্টাডি করে দেখা যায়, তাদের ব্যথার ওষধের প্রয়োজন কমেছে। এমনটাই প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

আরো পড়ুন : ত্রিশের পর যাঁরা মা হতে চান, লেখাটি তাদের জন্য

নিয়মিত হলুদ মিশ্রিত দুধ খেলে কারকিউমিনের প্রভাবে বিডিএনএফ নামে এক রাসায়নিকের পরিমাণ বাড়ে বলে অ্যালঝাইমারের প্রকোপ কমে অনেকটাই। বাড়ে ব্রেনের কার্যকারিতা। দারুচিনি খেলে ব্রেনে টাউ প্রোটিনের পরিমাণ কমে ও অ্যালঝাইমার রোগের ক্ষেত্রে উপকার হয়। হলুদ খেলে মন ভালো থাকে। এক সমীক্ষায় ৬০ জন গভীর অবসাদে ভুগছেন এমন মানুষের এক অংশকে দেয়া হয় কারমিউমিন এক অংশকে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট- বাকি অংশকে দেয়া হয় দুটোই। ৬ মাস পরে দেখা যায় প্রথম দুটি গ্রুপের সদস্যরা একই রকম ফলাফল হয়েছে। আর তৃতীয় গুরুপের মানুষেরা সবচেয়ে ভালো আছেন।

আরো পড়ুন : গর্ভাবস্থায় চুলের যত্ন

হলুদ, আদা, দারুচিনি সবার মধ্যেই ক্যান্সার দূরে রাখার গুণাবলি আছে। তবে কোনটা কী পরিমাণে খেলে কতটা কাজ হবে তা জানতো গেলে আরও অনেক গবেষনার প্রয়োজন আছে। দুধে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। নিয়মিত খেলে সাধারণ স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সেই সঙ্গে ভালো থাকে হাড় ও পেশি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর ভূমিকা অনেক। সকালে খালি পেটে খান হলুদ দেয়া দুধ। এর পর আধাঘন্টা আর কিছুই খাবেন না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও খেতে পারেন, ঘুম ভালো হবে। দিনে ২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ খেলেই যথাষ্ট। রান্নায় হলুদ ব্যবহার করুন। হলুদ রক্ত পাতলা রাখে বলে গর্ভাবস্থায় খুব বেশি না খাওয়াই উত্তম।

আরো পড়ুন : গর্ভাবস্থায় ক্যাফেইনের প্রভাব

কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা থাকলে হলুদ কমিয়ে খেতে হবে। হলুদ-দুধ তৈরিরজন্য ১২০ মিলিগ্রাম গরুর দুধ বা আমন্ড/ সয়াবিনের দুধে মেশান এক চামচ কাঁচা বা শুকনো হলুদ বাটা। বিশেষ হলুদ দুধে দুধ ও হলুদের সঙ্গে অল্প কিছুটা আদা কুচি আধ চা-চামচ, দারুচিনির গুড়া একচিমটে গোল মরিচ গুড় মিশিয়ে চুলায় দিন।

ফুটতে শুরু করার পর আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট ধরে ফোটাতে থাকুন। নামিয়ে ছেঁকে নিন। দিন পাঁচেকের মতো বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। খাওয়ার সময় একটু গরম করে নিলেই হবে।

Leave a Comment