৩০-এরপরে বাচ্চা নিলে আপনি যে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখী হবেন!

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • মার্চ ৩০, ২০২১

কাজের তাগিদে কিংবা ক্যারিয়ারের দিকে বেশি ফোকাস থাকার কারণে আজকাল মেয়েরা ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেক মেয়েই ৩০বছর বা তার পরে গর্ভধারণের চিন্তা করছেন। ৩০ বা তার পরে বাচ্চা নিতে চাইলে আপনাকে কি ধরণের ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তা জেনে রাখা ভালো। বয়স যত বাড়ে, সন্তান ধারণের ক্ষমতা তত কমতে থাকে। গর্ভধারণের পর গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে।

বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, মায়ের বয়স যত বেশি হবে , বিশেষ করে ৩৫ বছরের পরে যারা মা হোন তাদের বাচ্চাদের ডাউন সিনড্রোম বা বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। যদি আপনার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ , থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকির পরিমান বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন সমস্যার কারণে অপরিপক্ব বাচ্চার জন্মহার বেড়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ নিজেই নিজের চেহারায় ফুটিয়ে তুলুন গোলাপি আভা

এই বয়সী মায়েদের বিলম্বিত প্রসব বা রক্তক্ষরণজনিত কারণে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার হার অনেক বেড়ে যায়। প্রথম সন্তান যদি ৩০-এর পর হয়, দ্বিতীয়টি নেবার আগে ২-৩ বছরের বিরতি নিতে হয়। এই সময় মায়ের শরীর এবং মনের ওপর চাপ বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় বা পরে সাইকিয়াট্রিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আপনার যা করণীয় :

(১) ৩০-এর পর মা হতে চাইলে আপনাকে আগেই একজন প্রসূতিবিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে তার পরামর্শ নিয়ে গর্ভধারণ করতে হবে। স্বামীর বয়সের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

(২) গর্ভধারণের আগে থেকেই ফলিক অ্যাসিড শুরু করুন।

আরো পড়ুনঃ আপনি কি নীরব ঘাতক ডিপ্রেশনে ভুগছেন ?

(৩) ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা, অ্যানিমিয়া আছে কিনা পরীক্ষা করুন।

(৪) বাচ্চার ক্ষেত্রে জন্মগত ত্রুটি দেখার জন্য ১২-১৩ সপ্তাহে ডাউন স্ক্রিনিং এবং ২০-২২ সপ্তাহে অ্যানোমেলি স্ক্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment