ওজন কমানো,পাকস্থলীর ক্যান্সার,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে মটরশুঁটি

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ২৪, ২০২১

মটরশুঁটি খুবই সুস্বাদুকর এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। সাধারণত এটি শীতকালে পাওয়া যায়। এটি একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম Pisum sativum । এটি ডাল জাতীয় উদ্ভিদ এবং গোলাকার বীজ সমৃদ্ধ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কেন রাখবেন মটরশুটি তা জেনে নিন-

ওজন কমাতে: মটরশুঁটিতে ফ্যাট এবং ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। তাই বেশি খেলেও কম ক্যালোরি পাওয়া যায় ফলে কম ক্যালোরিতে অধিক সময় পেট ভরিয়ে রাখা যায়। এটি অধিক খাবারের চাহিদা থেকে দূরে রাখে। ওজন কমাতেও এটি খুবই সহায়ক।

পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে: মটরশুঁটিতে কেমোস্ট্রোল নামক পলিফেনল রয়েছে যেটি ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই সহায়ক। তাই পাকস্থলীর সুস্থতায় মটরশুটি খাওয়া খুবই জরুরি।

আরো পড়ুনঃ ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর, করোনা নাকি সাধারণ জ্বর

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: মটরশুঁটিতে রয়েছে অনেক অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট যা দেহের অনেক খারাপ বিক্রিয়া প্রতিরোধ করে ফলে অনেক কঠিন রোগ থেকে আমরা বেঁচে যাই।

এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল যেমন-আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার ইত্যাদি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে: মটরশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট যেমন ফ্ল্যাভানয়েডস্, ক্যাটেসিন, এপিক্যাটেসিন, ক্যারোটিনয়েডস্ যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে এবং বুড়িয়ে যেতে বাধা দেয়।

বাতের ব্যথায়: মটরশুঁটিতে ভিটামিন-কে রয়েছে যা বাতের ব্যাথা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই বাতের ব্যথা প্রতিরোধে মটরশুঁটি খুবই সহায়ক।

আরো পড়ুনঃ চোখের পাতা কেঁপে ওঠা যেসব রোগের লক্ষণ

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে: মটরশুঁটিতে রয়েছে অতিরিক্ত ফাইবার এবং প্রোটিন যেটি গ্লুকোজ পরিপাক হওয়ার সময় বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি এটি কোনো অতিরিক্ত চিনি বহন করে না এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা পালন করে।

চোখের উপকারিতায়: এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভনয়েডস্, বিটাক্যারোটিন, লুটেইন ইত্যাদি যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।

চুল পড়া রোধে: এতে ভিটামিন-সি রয়েছে যা কোলাজেন নামক প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে। কোলাজেন চুলের গোড়া শক্ত করে ফলে চুল পড়া কমে যায়।

হজম ক্ষমতা বাড়াতে: এতে উচ্চমানের ফাইবার রয়েছে। তাই এটি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ মেহেদি পাতায় চুলের সমস্যার সমাধান, সর্তকতাসহ

গর্ভবতী মায়ের জন্য: এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ফলিক এসিড যা বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাই গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই মটরশুঁটি রাখা উচিত তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।

পুষ্টিগুণের দিক থেকে মটরশুঁটি খুবই উচ্চমানের একটি সবজি। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই এটি আমাদের রাখা উচিত। এই সবজিটি সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। তাই সারাবছরই মটরশুঁটি খাওয়া সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কিনা জেনে নিন

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment