গর্ভাবস্থায় বমি বা বমিভাব
- তাসফিয়া আমীন
- আগস্ট ৪, ২০২১
বমি বমি ভাব এবং বমি গর্ভাবস্থায় খুবই সাধারণ ব্যাপার। বিশেষ করে সকালে বমি বমি ভাব বেশি হয়। সাধারণত, এই সমস্যা প্রথম তিন মাসে বেশি হয় এবং অনেকের ক্ষেত্রে তিন মাসের পর বমি বা বমি ভাব একদম চলে যায়।
কারণ কি?
এটার মূল কারণ গর্ভাবস্থায় এইচসিজি হিউম্যান গ্রোথ হরমোনের বৃদ্ধি। ভিটামিন বি১, বি৬ এবং আমিষের অভাব থাকলেও এই সমস্যা বেশি হয়। তবে প্রথম প্রেগ্ন্যাসিতে এমনটা বেশি ঘটে। এছাড়াও যমজ সন্তান বা মোলার প্রেগন্যান্সিতে অতিরিক্ত বমি হতে দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ রোদে পোড়া ত্বকের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনুন !
কখন চিন্তার কারণ?
গর্ভাবস্থায় বমি কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর অবস্থায় চলে যায় এবং এই অবস্থাকে হাইপারইমেসিস গ্র্যাভিডারাম (HEG) বলা হয়। এই সমস্যার ফলে পানিশূন্যতা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বল বা ক্লান্ত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। চোখ ভেতরে ঢুকে যায়, জিব শুকিয়ে আসে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ওজন না বেড়ে বরং কমে যেতে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। রক্তচাপ কমে যায় ও হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়, তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। জন্ডিসও হতে পারে। এর যেকোনো দুইটি বা তার বেশি লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
করণীয় কি?
বেশি বমি হলে মুখে খাবার খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। বমি কমে এলে প্রথমে শুকনো খাবার যেমনঃ বিস্কুট, টোস্ট, মুড়ি ইত্যাদি খেতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক খাবার শুরু করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সুজির ঝাল ঝাল পিঠা
প্রোটিন জাতীয় খাবার, ভিটামিন বি১ ও বি৬-সমৃদ্ধ খাবার, বিনস, সবজি, বিট, কলা ইত্যাদি খেতে হবে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যেহেতু বমি হয়, সেহেতু ঘুম থেকে উঠে পানিজাতীয় খাবার না খেলে বমি ভাব অনেক কমতে পারে।