হবু মায়ের ডেঙ্গু হলে কি করবেন?

  • তাসফিয়া আমীন
  • সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১

সাধারণত হবু মায়েরা গর্ভকালীন অনেক শারীরিক জটিলতায় ভোগেন। সে সব সমস্যা কারো বেশি হয়, কারো কম। কিন্তু কিছু কিছু রোগ আছে যেগুলো গর্ভ সম্পর্কিত নয়, সেগুলো হলে মায়েরা অনেক ভয় পেয়ে যান। এমনই এক অসুখ ডেঙ্গু।

আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে কার্যকরী ২ টি টিপস

গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে হবু মায়েদের ডেঙ্গু শক সিনড্রোম ও ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এমনকি প্রাণনাশেরও আশঙ্কা বেশি থাকে।
কারণ, এসময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল থাকে। তা ছাড়া গর্ভাবস্থায় সব ওষুধ নিরাপদ নয়। টাঈ যেকোনো সংক্রমণ সহজে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না।

ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণ গুলো হলোঃ

- হালকা জ্বর

- হাত পায়ের অস্থিসন্ধিতে ব্যথা

- র‍্যাশ

কিন্তু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এসব কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। রোগী কিছু বুঝে ওঠার আগেই রক্তের প্লাটিলেট (Platelet) কমে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় রোগের ক্লিনিক্যাল রূপ পরিবর্তিত হওয়ায় রোগীদের হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। অন্যদিকে ডেঙ্গুর কিছু লক্ষণ গর্ভাবস্থার কিছু শারীরিক সমস্যার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় রোগ নির্ণয় করতে দেরি হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ শোয়ার আগে নিজের ত্বকের পরিচর্চা করুন 

সাধারণত চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর কমে যায়। কিন্তু জ্বর কমে যাওয়ার পরের সময়টাই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, এ সময় ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে রক্তের প্লাটিলেট কমে যায় এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। অন্তঃসত্ত্বাদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য তাদের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।।

কি করবেন?

- গর্ভাবস্থায় জ্বর মানেই সংকটপূর্ণ অবস্থা, তাই জ্বরের মাত্রা যাই হোক না কেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবং জ্বরে আক্রান্ত হলে প্রথম বা দ্বিতীয় দিনেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করান।

- হবু মা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। বাসায় বসে চিকিৎসা নেওয়া ঝুঁকি হয়ে যায়।

- জ্বর ও ব্যথানাশক হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে।

- স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে  দূর করুন ব্রণ এবং মুখের যে কোন কালো দাগ

- রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়মিত চেক করতে হবে৷ হিমোগ্লোবিন কম থাকলে ব্লাড দিতে হবে।

- প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে প্লাটিলেট দিতে হবে।

- এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত একজন মেডিসিন ও একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment