কর্পূরের চমৎকার এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবহার!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • মার্চ ৮, ২০১৮

বাজারে দুই ধরণের কর্পূর পাওয়া যায়। একটি কর্পূর গুল্ম থেকে পাওয়া যায় এবং অন্যটি কৃত্রিমভাবে তৈরি হয়। সাধারণত হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজায় কৃত্রিমভাবে তৈরি কর্পূর ব্যবহার করা হয় এবং এডিবল কর্পূর মিষ্টি খাবারে সুগন্ধ সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয় কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল। কর্পূর বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়। কর্পূরের উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিই চলুন-

ত্বকের সমস্যায় : আপনার যদি চুলকানি ও র‍্যাশের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কর্পূর হতে পারে এর প্রতিকার। এক টুকরো এডিবল কর্পূর নিন এবং সামান্য পানির সাথে মেশান। আক্রান্ত স্থানটি এই দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আস্তে আস্তে চুলকানি কমে যাবে। কিন্তু কখোনোই কাটা বা ক্ষতে কর্পূর ব্যবহার করবেন না। কারণ কর্পূর রক্তের সাথে মিশে গেলে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।

প্রেগন্যান্ট নারীর জন্য : অনেক প্রেগন্যান্ট নারীর পায়ের পেশীতে সংকোচনের সমস্যা হয়। সরিষার তেল বা নারিকেল তেলের সাথে সিনথেটিক কর্পূর দিয়ে তাপ দিন যতক্ষণ না পুরোপুরি মিশে যায়। তারপর মিশ্রণটির তাপমাত্রা কমলে কুসুম গরম অবস্থায় পায়ে মালিশ করুন।

পিঁপড়া দূর করতে : আপনার ঘরে যদি পিঁপড়ার উপদ্রব বেশি হয় তাহলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশকের পরিবর্তে কর্পূর ব্যবহার করুন। খাওয়ার উপযোগী কর্পূর সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে নিন এবং পিঁপড়ার আনাগোনা যেখানে সেই স্থানগুলোতে এই মিশ্রণটি ছিটিয়ে দিন, দেখবেন পিঁপড়ারা উধাও হয়ে গেছে। ঘরকে পিঁপড়া মুক্ত করার এটি সবচেয়ে সহজ উপায়।

ছারপোকা তাড়াতে : ছারপোকা তাড়াতে কর্পূর অত্যন্ত কার্যকরী। ছারপোকার সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বিছানার চাদর ধুয়ে ফেলুন। তোষক ও জাজিম বা মেট্রেস রোদে শুকাতে দিন। তারপর একটি বড় কর্পূরের টুকরো মসলিন ব্যাগে ঢুকিয়ে বিছানা ও মেট্রেসের মাঝামাঝি স্থানে রেখে দিন। এতে বিছানা থেকে ছারপোকা দূর হবে এবং পরবর্তী আক্রমণ থেকেও রক্ষা করবে।

ব্রণ ও ব্রণের দাগ নিরাময়ে : কয়েক ফোঁটা ভালমানের কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল অন্য একটি তেলের সাথে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে মালিশ করলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়। তবে মনে রাখবেন কখোনোই কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল বা আমন্ড তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।

শিশুর ঠান্ডায় : শিশুর বুকে কফ জমে গেলে তা দূর করতে সাহায্য করে কর্পূর। সরিষা বা নারিকেল তেলের সাথে সামান্য কৃত্রিম কর্পূর মিশিয়ে তাপ দিন। উষ্ণ অবস্থায় এই তেলের মিশ্রণটি শিশুর বুকে ও পিঠে মালিশ করুন।

চুল পরা রোধে ও খুশকি দূর করতে : আপনি নিয়মিত মাথায় যে তেল ব্যবহার করেন তার সাথে কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল পরা কমে। চুলে শ্যাম্পু করার আগে এই তেলের মিশ্রণ মাথার তালুতে ও চুলে ব্যবহার করুন। এটি খুশকি নিরাময়েও সাহায্য করবে।

মশা তাড়াতে : ঘরের অন্ধকার স্থানে যেখানে মশারা ঘাপটি দিয়ে বসে থাকে সেখানে কর্পূরের ট্যাবলেট রেখে দিন। এটি শুধু ঘরের বাতাসে সুগন্ধই ছড়াবে না বরং মশাও দূর করবে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment