কাছে পিঠে নিরিবিলিতে ঘুরে আসুন ফেলুদার হাজারিবাগে

• ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
• মার্চ ৫, ২০২১

ফেলুদাকে চিনেন তো সবাই ? ফেলুদাকে চিনবে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অনেকের সঙ্গে হাজারিবাগের পরিচয় ছিহ্নমস্তার অভিশাপ থেকে। সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে হাজারিবাগের পথঘাট জীবন্ত হয়ে উঠেছিল ফেলুদা, তোপসে ও লাল মোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। হুটহাট যারা ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন তাদের জন্য হাজারিবাগ হতে পারে বেস্ট চয়েজ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে অরণ্য, পাখি, ঝর্ণার মেলবন্ধন হল হাজারিবা-ঘাটশিলা ট্রিপ। 

কী দেখবেন হাজারিবাগে ?  

অঞ্চলের মূল আকর্ষণই হল এখানকার অরণ্য। জাতীয় উদ্যানের টানে অনেকেই পৌঁছে যান হাজারিবাগ। কপাল ভালো থাকলে দেখা মিলতে পারে বাঘ, হরিণ, প্যান্থার শজারুর। মোটের ওপর রয়েছে দশটি ওয়াচটাওয়ার। এখান থেকে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে রাঁচি-পটনা রোডের সামনে রয়েছে পিকনিক স্পট। এখানে দেখা যায় উষ্ণপ্রস্রবণ, সুরজ কুণ্ড। এছাড়াও রয়েছে ভদ্রকালী মন্দির। এই অঞ্চলের মধ্যে সব থেকে বেশি যা নজর কাড়ে তা হল কানারি হিল।

কীভাবে যাবেন ? 

কলকাতায় থেকে যেতে হলে হাওড়া থেকে রয়েছে একাধিক ট্রেন। দুন এক্সপ্রেস, হাওড়া দিল্লি কালকা মেল, শিয়ালদহ থেকে রয়েছে ট্রেন, সঙ্গে বাবুঘাট থেকে বাসও ছাড়ে। ট্রেনে যেতে সময় লাগে মোট ছয় ঘন্টা।

আরো পড়ুন : গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে ৬ টি খাবার খাওয়া অবশ্যই বাদ দিবেন

কোথায় থাকবেন ? 

ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজমের কমপ্লেক্স, রয়েছে এছাড়াও অনেক হোটেল। খরচ ১০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আগে থেকে বুকিং করে যাওয়া ভালো। 

খরচ কেমন ? 

খরচ খুব একটা বেশি নয়। মাথাপিছু ৫৫০০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখলেই ঘুরে আসা যাবে এই জায়গা থেকে। যাওয়ার জন্য সঠিক সময় হল মার্চ থেকে অক্টোবর।