বিকৃত যৌন জীবন কী এবং কেমন হয়ে থাকে?

  • ফারজানা আক্তার 
  • ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

শিশুদের নানান বিষয় নিয়ে একটু পড়াশোনা করছিলাম। তার মধ্যে শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত বিষয়টি সামনে আসলো। এই বিষয়টি নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতে যেয়ে আরো কিছু বিকৃত যৌন জীবন সম্পর্কে জানলাম। আগে আমরা বিকৃত যৌনাচার সম্পর্কে জানি! জীবন, যৌনতা, সমাজ, মানুষের আচার - আচরণ শুধুমাত্র বায়োলজিক্যাল বিষয় নয়। এগুলোর সাথে সামাজিক এবং মানসিক বিষয়ও যুক্ত। আমেরিকান মনোবিজ্ঞান সংস্থার (সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির) মতানুসারে, বিকৃত যৌনাচার বা প্যারাফিলিয়া হল সমাজের প্রচলিত সংস্কৃতি বা নিয়মের সাথে মেলে না এমন যৌন আচরণ।

যেমন- শিশু, বৃদ্ধ, পশু/প্রাণী, মৃত মানুষ, বস্তু, গাছ ইত্যাদির প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করা। সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা এবং মানসিকতার উপর নির্ভর করে বিকৃত যৌনাচারকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন :

পেডোফেলিয়া (Pedophilia): এই অসম্ভব বিকৃত রুচিতে যারা আক্রান্ত তারা তাদের যৌন আকাঙ্খা পূরণের জন্য বাচ্চাদেরকে পছন্দ করে।

ফেটিশিজম (Fetishism): এই ধরনের রুচিতে যারা অভ্যস্ত তারা সাধারণত জড় বস্তুর প্রতি যৌন আকৃষ্ট হয়। যেমন- আন্ডারওয়ার, মেয়েদের পোশাক নিয়ে খেলা(!) করা ইত্যাদি। এটা বিকৃত আচরণ হলেও সমাজের জন্য তেমন ক্ষতিকর না।

ফ্রটারিজম (Frotteurism): এটা লোকজন পূর্ণ এলাকায় বেশি হয়। এই ঘৃণ্য রুচিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত অপরিচিত মানুষের প্রতি যৌন আকৃষ্ট হয়ে মানুষের শরীরে অনুমতি ছাড়াই অশ্লীল ও ইচ্ছেকৃত ভাবে হাত দিয়ে থাকা, গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়ানো, প্রভৃতি ঘটনার সাথে জড়িত থাকে। পুরুষদের ক্ষেত্রেই এটা বেশি দেখা যায়।

এছাড়াও অন্যন্য ধরনের প্যারাফিলিয়ার মধ্যে রয়েছে সেক্সসুয়াল স্যাডিজম (অন্যকে শারীরিক কষ্ট দিয়ে আনন্দ লাভ), ভয়েরিজম (পিপিং টম-লুকিয়ে অন্যের যৌন সঙ্গম দেখা), নেক্রফিলিয়া (মৃত দেহের বা কঙ্কালের প্রতি যৌন আকর্ষণ),এলগোলাগনিয়া (নিজের শারীরিক কষ্টে মস্তিষ্কে যৌন সুখ পাওয়া, কিছু মানুষ আছে যারা নিজের কোন ব্যথা পাওয়া অঙ্গে চাপ দিয়ে আরও বেশি ব্যথা পেয়ে আনন্দ পেয়ে থাকে), সেলিব্রিফিলিয়া (সেলিব্রেটি নায়ক নায়িকার প্রতি যৌন কল্পনা) সহ ইত্যাদি।

Leave a Comment